স্টাফ রিপোর্টার: চিকিৎসক দেবাশিস সোম ও সুজাতা ঘোষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। সিবিআইকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিল স্বাস্থ্যদপ্তর। পুজোর আগে, গত ৯ অক্টোবর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যদপ্তরকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিল, তারই উত্তরে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তা সিবিআইকে এই তথ্য জানান। ওই দুই চিকিৎসক আর জি করের অ্যানাস্থেশিওলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. সুজাতা ঘোষ ও ফরেনসিক মেডিসিনের ডেমনস্ট্রেটর ডা. দেবাশিস সোম আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডা. সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। ওই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ জানিয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি দেয় সিবিআই।
স্বাস্থ্যদপ্তরকে পাঠানো ওই চিঠিতে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার এক ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিক দাবি জানান যে, আর জি করে বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়, হাউস স্টাফ নিয়োগের মতো বিষয়গুলিতে যে দুর্নীতি ধরা পড়েছে, তার সঙ্গে এই দুই চিকিৎসকের ভূমিকা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই তথ্য জানিয়ে দেবাশিস সোম ও সুজাতা ঘোষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সিবিআই। এই চিঠির উত্তরে স্বাস্থ্যকর্তা সিবিআইকে জানিয়েছেন যে, দুই চিকিৎসক দেবাশিস সোম ও সুজাতা ঘোষের উপর যে অভিযোগগুলি উঠেছে, তার উপরই ভিত্তি করে তাঁদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যদপ্তর বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যদপ্তরের তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতেও ওই দুই চিকিৎসকের ‘কার্যকলাপ’-এর বিবরণ দেওয়া রয়েছে। সিবিআইয়ের কাছে আসা অভিযোগ অনুযায়ী, দুই চিকিৎসক আর জি করে ‘থ্রেট কালচারের’সঙ্গেও জড়িত। আগের চিঠিতে সিবিআই স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানায় যে, আর জি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে জানা গিয়েছে যে, দেবাশিস সোম ও সুজাতা ঘোষ হাসপাতালের বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়, হাউস স্টাফ নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁরা দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত ছিলেন কি না, সিবিআই তার তদন্ত করছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, কোনও ব্যক্তি জুনিয়র ডাক্তার, হাউস স্টাফ অথবা নার্সকে হুমকি অথবা হেনস্তা করেছেন, এমন কোনও তথ্য সিবিআইয়ের কাছে এলে সেই তথ্য সিবিআই স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানাতে পারে। ওই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে তদন্ত হবে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর।