সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তার জেরে গোটা রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি চলাকালীন এই তথ্য জানালেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি আরও জানান, তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য। উল্লেখ্য, আর জি করে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে কোন্নগরের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদও। তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করলেন রাজ্যের আইনজীবী।
আর জি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলা। এক মাস ধরে কর্মবিরতিতে শামিল জুনিয়র ডাক্তাররা। তার মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে কোন্নগরের বাসিন্দা বিক্রম ভট্টাচার্যের মৃত্যুর খবর। মৃতের পরিবারের দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির বলি হয়েছেন তাঁদের ছেলে। কেবল আর জি কর নয়, অন্যান্য হাসপাতালেও চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জন্য রোগীদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই তালিকায় রয়েছে এসএসকেএমের মতো হাসপাতাল। কেবল কলকাতা নয়, রাজ্যের অন্যান্য এলাকার হাসপাতালগুলোতেও উঠছে বিনা চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেক-রুজিরার আর্জি]
উল্লেখ্য, আর জি কর মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট অনুরোধ জানিয়েছিল চিকিৎসকরা যেন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন। তার পরে দিল্লি এইমস-সহ একাধিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা কাজে ফেরেন। কিন্তু সুপ্রিম অনুরোধে কর্ণপাত করেননি আর জি করের প্রতিবাদী চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়ে দেন, কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন। হাসপাতালের নন এমার্জেন্সি সার্ভিস অর্থাৎ বহির্বিভাগে বন্ধ থাকবে সমস্ত কাজ। এহেন পরিস্থিতিতেই সামনে আসে কোন্নগরের যুবকের মৃত্যুর খবর।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোরে বিক্রমের দুই পায়ের উপর দিয়ে লরি চলে যায়। প্রথমে শ্রীরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কার্যত বিনা চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যু হয় বলেই অভিযোগ।