সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার ছুটির দিনেও প্রতিবাদী শহর। ন্যায়বিচার চেয়ে পথে নেমেছেন তিলোত্তমারা। সেই মহামিছিলে যোগ দিয়েছেন দিতিপ্রিয়া রায়ও (Ditipriya Roy)। সেখান থেকেই নারী নিরাপত্তা নিয়ে সুর চড়ালেন দর্শকদের প্রিয় 'রানিমা'।
এদিন নাগরিক মিছিলের প্রথম সারিতে দেখা যায় অপর্ণা সেন, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, চৈতি ঘোষাল, উষসী চক্রবর্তীদের। তবে দিতিপ্রিয়া ছিলেন ভিড়ে মিশে। আর পাঁচজন সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে হেঁটেই প্রতিবাদে শামিল হলেন দর্শকদের প্রিয় 'রানিমা'। দিতিপ্রিয়া রায়ের মন্তব্য, "কাল যদি আমার সঙ্গে এমন কোনও ঘটনা ঘটে, মা-বাবারা কত দিন লড়তে পারবেন আমার জন্য? যতক্ষণ না সুবিচার পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ মাথায় অন্য কোনও চিন্তা আসছে না। নির্যাতিতার সঙ্গে হওয়া অত্যাচারের কথা ভেবে আর বাড়িতে বসে থাকতে পারছি না। দু চোখের পাতা এক করতে পারছি না। ভাইরাল হওয়া রেকর্ডিংগুলো শুনেছি। এই লড়াইটা মনুষ্যত্বের লড়াই।" সেই প্রেক্ষিতেই অভিনেত্রীর সংযোজন, "শিল্পী হিসেবে তাই আমার আলাদা করে পরিচিতির প্রয়োজন নেই। সত্যি জানি না আর কত দিন লড়ে যেতে হবে, এই ন্যায়বিচারের জন্য।"
[আরও পড়ুন : ‘অভিভাবক ভাবি, তাই…’, মমতার কাছে বিহিতের আর্জি স্বস্তিকার, কী দাবি সুদীপ্তা-চৈতিদের?]
গত ১৪ আগস্ট নারীদের রাত দখলেও শামিল ছিলেন দিতিপ্রিয়া রায়। তবে শিল্পী হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেই যোগ দিয়েছিলেন সেই মিছিলে। আর জি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে যখন তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি, তখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও নিত্যদিন নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে চলেছে। যা কিনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। আমজনতা থেকে সেলেব সকলের কপালেই ভাঁজ! এমতাবস্থায় একজন মেয়ে হিসেবে নিরাপত্তার দাবি তুলে পথে নেমেছেন দিতিপ্রিয়াও।
একজন মেয়ে তো বটেই সর্বপরি একজন মানুষ হিসেবে এই অন্যায়ের বিচার চাইছেন দিতিপ্রিয়া রায়। অভিনেত্রী বলছেন, "প্রয়োজনে কাজের পরে মিছিল করবেন। কারণ সাধারণ মানুষের কাছে প্রতিবাদ করার ক্ষমতা ছাড়া আর কিছুই নেই।"