সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঙ্গলবার চতুর্থ দিনে পড়েছে। জুনিয়রদের আন্দোলনে শামিল হয়ে ইতিমধ্যেই 'গণইস্তফা' দিয়েছেন দুই মেডিক্যাক কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার সংকট আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হল। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ তিন মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসকরাও জানিয়ে দিলেন, জুনিয়রদের দাবিপূরণে রাজ্য সদর্থক ভূমিকা না নিলে তাঁরা একে একে ব্যক্তিগতভাবে ইস্তফা দেবেন।
জুনিয়র চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবিপূরণে অনশন শুরু হয়েছে ধর্মতলায়। সেখানে যোগদানকারীর সংখ্যা বাড়ছে। রাজ্য সরকারের তরফে ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে কাজে ফেরার আর্জি জানানো হয়েছে। খোদ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানিয়েছেন, ডাক্তারদের দাবির ৯০ শতাংশ পূরণ হয়ে যাবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে। কিন্তু মুখ্যসচিবের সেই আর্জিতে সাড়া দেননি জুনিয়ররা। তাঁরা অনশনের পাশাপাশি লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই জুনিয়রদের পাশে দাঁড়িয়ে গণইস্তফা দিয়েছেন আর জি করের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। মঙ্গলবার ন্যাশনাল মেডিক্যালেরও প্রায় ১০০ জন ডাক্তার 'গণইস্তফা' দিয়েছেন। যদিও আর জি করের সিনিয়র চিকিৎসকদের ইস্তফা গৃহীত হয়নি। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, ওই চিকিৎসকদের ইস্তফা গৃহীত হয়নি। মনে করা হচ্ছে, ন্যাশনাল মেডিক্যালের চিকিৎসকদের গণইস্তফাও গ্রহণ করা হবে না। সরকারের দাবি, ওই ইস্তফা নিয়ম মেনে হয়নি। তাই এবার আরও কড়া পদক্ষেপের পথে রাজ্যের ৩ গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা। আর জি কর, কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র ডাক্তাররা ঠিক করেছেন, এবার একে একে ব্যক্তিগতভাবে সব নিয়ম মেনেই ইস্তফা দেবেন তাঁরা।
চিকিৎসকরা কার্যত রাজ্যকে ডেডলাইন দিয়ে দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার যদি দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপ না করে, আর অনশনরত জুনিয়রদের শারীরিক অবস্থার আর বিন্দুমাত্র অবনতি হয়, তাহলেই একে একে ইস্তফা দেবেন তাঁরা। সেটা হলে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর অভাবনীয় সংকট তৈরি হবে।