রাজকুমার কর্মকার, আলিপুরদুয়ার: ফের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের মৃত্যুকে ঘিরে ছড়াল চাঞ্চল্য। জাতীয় উদ্যানের ভিতর দিয়ে যাওয়া তোর্সা নদীতে মৃত গন্ডারের (Rhinoceros) হদিশ মিলেছে। চোরাশিকারের জন্যই গন্ডারটিকে খুন করা হয়েছে, নাকি মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, শনিবার সকালে শিমলাবাড়ি বন বসতির কাছে তোর্সা নদীতে (Torsa River) ভেসে উঠে দেখা যায় গন্ডারের দেহ। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বন দপ্তরের কর্মীরা। ক্রেনের মাধ্যমে দেহটি উদ্ধার করা হয়। অতিবর্ষণে তোর্ষা নদীতে ডুবেই গন্ডারের মৃত্যু বলে প্রাথমিক অনুমান বন দপ্তরের। খড়্গ তথা দেহাংশ অক্ষত রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিজেপিকে রুখতে বিরোধীদের নিয়ে তৈরি হোক কোর গ্রুপ, সোনিয়ার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব মমতার]
গত বছর জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে (Jaldapara sanctuary) যেন মড়ক দেখা দিয়েছিল। কয়েক দিনের ব্যবধানে মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডারের। চোরাশিকারিদের দাপটেই একের পর এক গন্ডারের মৃত্যু হচ্ছিল বলেই মনে করা হয়েছিল। জলদাপাড়ার পাশাপাশি গরুমারার ‘ডন’ দাপুটে গন্ডারও প্রাণ হারায়। যদিও তার খড়্গটি অক্ষত ছিল। তাই বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে তার বলেই ধারণা ছিল বনদপ্তররের কর্মীদের। এবার ফের জলদাপাড়ার জাতীয় উদ্যানে গন্ডারের মৃত্যুকে ঘিরে নতুন করে জলঘোলা তৈরি হল। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে, ঠিক কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তার।
চোরাশিকারিদের দাপট রুখতে বনদপ্তরের তরফে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আগের তুলনায় অনেকটাই পাচার কমানো সম্ভবও হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও জলদাপাড়ার গন্ডারের মৃত্যুতে পাচারের কারণকে এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। খড়্গ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।