সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পরই প্রকাশ্যে আসছে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রাজস্থানের ২৫ আসনে শূন্য পেয়েছে কংগ্রেস। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ছেলে বৈভব গেহলটও যোধপুর থেকে পরাস্ত হয়েছেন। তাঁর হারের ব্যবধানও বিরাট (প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার)। এ হেন হারের জন্য এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী গেহলট এবার দায়ী করলেন তাঁরই ডেপুটি তথা রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শচীন পাইলটকে। প্রকাশ্যেই বললেন, এই হারের দায় নিতে হবে পাইলটকে। যার জেরে টালমাটাল পরিস্থিতি রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে।
[আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে ২৭ হাজার কোটি টাকা খরচ বিজেপির, জানাল সমীক্ষা ]
রাজস্থানে বিজেপি শাসনের অবসান ঘটিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরই অবশ্য দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বীজ পোঁতা হয়ে গিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে গেহলট এবং পাইলট শিবিরের মধ্যে দীর্ঘ বাদানুবাদও হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়ছিল সেসময়। কিন্তু, রাজস্থান কংগ্রেস যে দুই শিবিরে বিভক্ত তা স্পষ্ট হয়ে গিয়ছিল মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের সময়। লোকসভা ভোটে জঘন্য ফলাফলের পর সেই দ্বন্দ্ব রীতিমতো ফাটলের রূপ নিল। প্রকাশ্যে শচীন পাইলটকে ছেলের হারের জন্য দুষলেন গেহলট। তাঁর দাবি, শচীনের আশ্বাসেই যোধপুর কেন্দ্রে ছেলে বৈভব গেহলটকে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। অথচ, সেই আসনটিও জেতাতে পারলেন না শচীন। তাই হারের দায় তাঁকে নিতে হবে।
[আরও পড়ুন: বুয়া-ভাতিজার মহাজোটে ইতি, একলা চলার ডাক মায়াবতীর]
মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে প্রদেশ সভাপতির উপর দায় চাপাচ্ছেন। যা ভালভাবে নেয়নি পাইলট শিবির। সূত্রের খবর, গেহলটের এই মন্তব্যের জেরে রীতিমতো অশান্তি তৈরি হয়েছে রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেস। উল্লেখ্য, হারের পর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দলের বর্ষীয়ান নেতাদের তোপ দেগেছিলেন খোদ রাহুল গান্ধী। রাহুল সেসময় বলেছিলেন, দলের বর্ষীয়ান নেতারা নিজেদের ছেলেমেয়েদর জন্য টিকিট চেয়েই সময় কাটিয়ে দিয়েছেন। তাঁর লক্ষ্য যে গেহলটই ছিলেন তা বলাই বাহুল্য। স্বাভাবিকভাবেই চাপের মুখে দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী। যা দলের অন্দরে অস্বস্তি তৈরি করেছে। আগামী দিনে এর জেরে বড়সড় অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
The post হারের জন্য পাইলটকে দায়ী করলেন গেহলট, সংকটে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার appeared first on Sangbad Pratidin.