সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাগ হবে না? আপনার বংশের কাউকে যদি অকারণে লোকজন অপমান করেন, আপনিও কি চটে যাবেন না?
ঠিক সেটাই হয়েছে ঋষি কাপুরের সঙ্গেও। একে তো ভাইঝি করিনা কাপুর খানের গর্ভাবস্থা নিয়ে গুজবের অন্ত ছিল না। নানা ভুয়া খবর একের পর এক প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এমনকী, নেট-দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে করিনার সন্তান জন্মের নকল ভিডিও ফুটেজও! সব মিলিয়ে অনেক দিন ধরেই ক্ষোভ জমা হচ্ছিল কাপুর পরিবারে। এবার যখন সন্তান জন্মের পর তার নাম নিয়ে হাসাহাসি শুরু হল টুইটারে, আর চুপ করে থাকতে পারলেন না দাদামশায় ঋষি কাপুর। এমন ভাবেই মুখ খুললেন যা শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গেল।
লোকেদেরও বলিহারি যাই! বাবা-মা সাধ করে সন্তানের নাম রেখেছেন তৈমুর আলি খান! হলেনই বা তিনি এক অত্যাচারী রাজা! তা নিয়ে এবার মশকরার বন্যা বইবে সোশ্যাল মিডিয়ায়? ফলে ব্যাপারটা মেনে নেওয়া সম্ভব হল না ঋষি কাপুরের পক্ষে। টুইট করে তাই প্রথমে লিখলেন তিনি- “বুঝতে পারছি না একজনের সন্তানের নাম নিয়ে এমন প্রতিক্রিয়া কেন! লোকের তাতে কী! বাবা-মা যা ভাল বুঝেছেন, নাম রেখেছেন! কার তাতে কী যায় আসে!”
কিন্তু তার পরেও থামার কোনও লক্ষণ দেখা গেল না টুইটারেতিদের তরফে! একজন টুইট করলেন- “এমন বিচ্ছিরি নাম বাবা-মা হয়ে সইফ-করিনা রাখেন কী করে! কোনও দিন এমন কাণ্ড দেখিনি বাবা!” বাধ্য হয়েই তার জবাব দিলেন ঋষি- “তুমি তোমার চরকায় তেল দাও! তোমার ছেলের নাম তো আর রাখা হয়নি! তাহলে তুমি ফুট কাটছো কেন?”
এবং তার পরেই বুঝতে পারলেন ঋষি- একটা মজার খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। টুইটারেতিরা ইচ্ছে করেই এমন সব মন্তব্য করছেন যাতে তিনি খেপে ওঠেন। একজন তাই টুইট করেছেন ঋষি কাপুরকে ট্যাগ করে- “পৃথ্বীরাজ কাপুর থেকে শুরু হয়ে শেষে কি না তৈমুর! বাচ্চাটা নিশ্চয়ই এমন নাম রাখা হয়েছে বলে কান্নাকাটি করছে!” এই জায়গা থেকে ধীরে ধীরে খেপে উঠলেন ঋষি। তাঁর জবাবে তাই দেখা গেল অশালীন গালাগালি- ‘fucking’। “নিজের কাজ করুন তো! আমাদের বংশের উত্তরাধিকারী কী ভাবছে, সেটা নিয়ে আপনার মাথা না ঘামালেও চলবে!”
কিন্তু টুইটারেতিরা থামলে তো! ফের এল টুইট ঋষি কাপুরকে ট্যাগ করে- “তৈমুর, ঔরঙ্গজেব এদের কাণ্ডটা একবার ভাল করে ইতিহাসে পড়ুন তো! তাহলেই বুঝবেন লোকে কেন এমন মন্তব্য করছে!” জবাব এল- “আলেকজান্ডার বা সিকন্দরও সাধু ছিলেন না! তাঁদের নামেও লোকে তো সন্তানের নাম রাখে। তুমি নিজের কাজ করো না ভাই! তোমার কেন এত অসুবিধা হচ্ছে?”
সবার শেষে লিখতে বাধ্য হলেন ঋষি- “আর একটাও আজেবাজে কমেন্ট এলে সবাইকে ব্লক করে দেবো! জাস্ট শাট দ্য ফাক আপ!”
তবে তৈমুরকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধুই যে হাসাহাসি হচ্ছে, তা নয়! নানা লোকজন বিস্তর মাথা খাটিয়ে এও উদ্ধার করেছেন যে বেশ দূর সম্পর্কের হলেও ঠাকুর পরিবারের রক্তও রয়েছে তৈমুরের মধ্যে। প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের ভাই গিরীন্দ্রনাথের বংশে জন্মেছিলেন গীতীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর মেয়ে শর্মিলা ঠাকুর। অতএব, তৈমুর লতায়-পাতায় ঠাকুর বংশেরও উত্তরাধিকারী! কে জানে কেন, শুধু তৈমুরের বেলাতেই এমন বংশপঞ্জি নিয়ে নাড়াচাড়া! সেই হিসেব ধরলে সইফের আগের দুই সন্তানও তো ঠাকুর পরিবারের অন্তর্ভুক্ত! অথচ, তা নিয়ে এতদিন মাথা ঘামাননি কেউ! ব্যাপারটা কি আদিখ্যেতা? না কি তৈমুরের মা করিনা কাপুর খান বলেই এত ফুটেজ পাওয়া?
আপনার কী মনে হয়?
The post নাতিকে নিয়ে হাসাহাসির জবাবে শালীনতার সীমা ছাড়ালেন ঋষি! appeared first on Sangbad Pratidin.