সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলা দেখতে ভারতে আসছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সূত্রের খবর, তাঁর এই সফরে খুলতে পারে দুই দেশের মুক্ত বাণিজ্যের জট।
আগামী ২৯ অক্টোবর লখনউয়ের স্টেডিয়ামে হতে চলেছে ভারত-ইংল্যান্ড হাইভোল্টেজ ম্যাচ। সেই খেলা দেখতেই ভারতে আসার কথা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর। কূটনীতিকদের মতে, ক্রিকেট উৎসবের আড়ালে দুই দেশের মধ্যে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (Free Trade Agreement) নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সব ঠিক থাকলে ম্যাচের আগেই ২৮ অক্টোবর এবিষয়ে সুনাকের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লির মাটিতে পা রেখেছিলেন সুনাক (Rishi Sunak)। সেসময়ই বৈঠকে মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে একমত হয়েছিলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। চুক্তি স্বাক্ষরে মিলেছিল সবুজ সংকেত। এর পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে ফের ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি।
[আরও পড়ুন: ‘প্যালেস্তিনীয়দের স্বার্থ নিয়ে ভাবিত নয় আমেরিকা’, তোপ পুতিনের]
তবে বাণিজ্য চুক্তির জট সম্পূর্ণভাবে খুলতে কিছু সমস্যাও রয়েছে। যার অন্যতম ‘ডেটা লোকালাইজেশন’ সংক্রান্ত জটিলতা। কারণ ভারত চায় এদেশে বাণিজ্য করতে আসা ব্রিটিশ সংস্থাগুলো পরিষেবাজনিত তথ্য যেন নিজেদের দেশে না নিয়ে যায়। এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে দর কষাকষি চলছিল অ্যালকোহল ও মোটর গাড়ির উপর ভারতের আরোপিত আমদানি শুল্ক হ্রাস করা, এবং কাজের উদ্দেশ্যে ভারত থেকে ব্রিটেনাভিমুখী কর্মপ্রার্থীদের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ নিয়েও। রয়েছে অভিবাসন নীতিও। কিন্তু জি-২০ আবহে শোনা গিয়েছিল এই বিষয়গুলো নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছিল মোদি ও সুনাকের মধ্যে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন এই সফরে আরও একবার উঠে আসতে পারে এই বিষয়গুলো। দুই দেশ যদি সমস্ত ক্ষেত্রে সহবস্থানে আসে তাহলে এদেশের মাটিতে দাঁড়িয়েই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে বড় ঘোষণা করতে পারেন সুনাক।
এই মুহূর্তে বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ভারত। যা নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে তুঙ্গে উন্মাদনা। এবার খেলার এই উৎসবকেই কাজে লাগাতে চাইছে দুই দেশ। ক্রিকেট কূটনীতিকে হাতিয়ার করেই সমস্ত জট কাটিয়ে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সেরে ফেলতে চাইছেন সুনাক ও মোদি। এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে খুন পাঠানকোট হামলার মূলচক্রী শহিদ লতিফ]