সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুরুতর অভিযোগে বিদ্ধ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দল। তাঁর দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের এক সাংসদ ধর্ষণ করেছেন এবং অন্য চার সাংসদ সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। শুধু তাই নয়, দল গোটা ঘটনাটি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলেও দাবি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মেল’-এ প্রকাশিত একটি চিঠি থেকে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও কোন সাংসদ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তা বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
জানা গিয়েছে, বরিস জনসন সরে যাওয়ার পর এবং ঋষি সুনাক (Rishi Sunak ) দায়িত্ব নেওয়ার আগে লিজ ট্রাস যে স্বল্প সময়ের জন্য ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, সেই সময় দলের চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন জেক বেরি। ২০২২ সালের অক্টোবরে পদ ছাড়ার পরপরই, দলের প্রাক্তন চিফ হুইপ ওয়েন্ডি মর্টন এবং পুলিশকে বেরি একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠিতে কোনও সাংসদের নাম উল্লেখ না করা হলেও বলা হয়েছে, অন্তত পাঁচজন মহিলা ওই সাংসদের লালসার শিকার হয়েছেন। ওই মহিলাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে। তারই মধ্যে এক যৌনকর্মীকে অন্য চার সাংসদের সামনে ধর্ষণ করেন ওই সাংসদ বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে ইতিহাস! বন্দরনগরী ওডেসা কাঁপছে রুশ বোমায়]
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অপরাধ চলছে। অন্য সাংসদরা জেনেও মুখ বুজে থাকায়, অভিযুক্ত সাংসদ লাগাতার অপরাধ করে চলেছেন। এই অপরাধ যাতে বন্ধ হয়, সেই লক্ষ্যে অবিলম্বে পুলিশি তদন্ত চেয়েছেন জেক বেরি। হাউস অফ কমন্সের (House of Commons) চিফ হুইপ এবং অধ্যক্ষের অফিসেও বিষয়টি জানিয়েছেন। এক নির্যাতিতাকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করেছে কনজারভেটিভ পার্টি, এমনও দাবি করেছেন তিনি। ব্রিটেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী অলিভার ডাউডেন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একই সঙ্গে অবশ্য জানিয়েছেন, “আমরা কোনও ঘটনা ধামাচাপা দিইনি। আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি, অন্তত আমি যখন কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান ছিলাম, তখন আমি কোনও অভিযোগ ধামাচাপা দিইনি।”