অভিষেক চৌধুরী, কালনা: গ্রামে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) হয় ঠিকই। তা সত্ত্বেও বাসন্তী পুজোই যেন কালনা মহকুমার দুই এলাকায় প্রধান উৎসব। বসন্ত পড়তেই কালনার নন্দগ্রাম ও মন্তেশ্বরের কাইগ্রামে বাসন্তী পুজোকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর আবেগ ও উন্মাদনা তুঙ্গে। এবছরও শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি।
কালনার নন্দগ্রাম ও মন্তেশ্বরের কাইগ্রামে বাসন্তী পুজো ৪ দিন ধরে চললেও পুজোকে কেন্দ্র ৫-৬ দিন ধরে চলে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উদ্যোক্তারা জানান, ছয়দশকেরও বেশী সময় ধরে কালনার (Kalna) নন্দগ্রামের বাসন্তী পুজো চলেছে। এখানে দেবীর রূপ একেবারে দেবী দুর্গার মতোই। যেখানে দেবীর সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশকেও দেখা যায়। কথিত আছে, ১৩৬৯ সালে গ্রামের দুর্গাপুজোয় বিঘ্ন ঘটেছিল। সেই থেকেই ওই গ্রামে বাসন্তী দেবীর আরাধনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘সহজ প্রশ্নপত্রে’ নির্বিঘ্নে মিটল এবছরের উচ্চমাধ্যমিক, ফলপ্রকাশ ১০ জুনের মধ্যেই ]
পুজো কমিটির সম্পাদক স্বপন অধিকারী জানান, “পুরাণ মতে রাজা সুরথ এই বাসন্তী পুজোর সূচনা করেন ।গ্রামের দুর্গাপুজোয় একবার বিঘ্ন ঘটে। সেই থেকে এই দেবীর পুজো শুরু হয়। ষষ্ঠীর দিন পুজোর উদ্বোধন করেন এলাকার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ।”
এদিকে এবছরও ষষ্ঠীর দিন থেকেই মন্তেশ্বরের কাইগ্রামের বাসিন্দারা মেতে উঠেছেন বাসন্তী পুজোয়। প্রাচীন রীতিনীতি মেনে নিষ্ঠা সহকারে এখানেও দেবীর আরাধনা করা হয়। এখানেও একসময় চৈত্রমাসের অশ্বত্থ গাছের নিচে একজোড়া পায়ের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। আর সেই পদচিহ্নকে মা বাসন্তী দেবীর পদচিহ্ন মনে করে ওখানেই ঘট স্থাপন করে পুজো শুরু হয়। সেই থেকেই এই পুজো এখনও হয়ে চলেছে বলে জানান পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা নবনীতা চক্রবর্তী ও সনৎ মোদকরা। তাঁরা এও জানান, “দেবীর অন্নকূট হয় না। লুচি, ক্ষীর, নানাবিধ ফলমূল দেবীর ভোগের উদ্দেশ্যে এখানে দেওয়া হয়। সন্ধিপুজোয় ছাঁচি কুমড়ো ও কলা বলি দেওয়া হয়। দশমীর দিন কাইগ্রাম ও নন্দগ্রামের দুই জায়গাতেই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে বিসর্জন করা হয়।