সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি নির্মাণের দেবতা। সমগ্র বিশ্ব নির্মাণ করেছিলেন বলেই এই নামে পরিচিত তিনি। বিভিন্ন দেবতার অস্ত্র থেকে আরম্ভ করে সোনার লঙ্কাও তাঁরই কীর্তি। কথিত আছে, এই দেবতার হাত ধরেই ধরিত্রীতে পুষ্পক বিমান, দ্বারকানগর, যমপুরী, কুবেরপুরী নির্মিত হয়েছে। তিনি উপবেদ, স্থাপত্যবেদ ও চতুঃষষ্টিকলারও প্রকাশক। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে পালিত হয় এই দেবতার পুজো।
চলতি বছর পুজোর শুভ সময় সকাল ৭ টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২ টা ২৬ মিনিট পর্যন্ত। আবার দুপুর ১টা বেজে ৫৮ মিনিট থেকে বিকেল ৩টে বেজে ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকবে শুভ সময়। শাস্ত্র মতে বিশ্বকর্মা দেবের পুজোয় কপালে টিকা লাগানো জরুরি। কেন? টিকার অর্থ কী? টিকার অর্থ হল দেবতার সামনে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি রাখা। দেবতার প্রতি নিবেদিত প্রাণ হওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রমাণ চিহ্নও টিকা। এসব কারণেই বিশ্বকর্মা পুজোয় সিঁদুরের টিকা দেওয়া শুভ। এই টিকা না লাগালে আরাধনাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
[আরও পড়ুন: ডাইনি অপবাদে আদিবাসী মহিলাকে মারধর, তুমুল উত্তেজনা বালুরঘাটে, দায়ের FIR]
বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়িতে থাকা যন্ত্রপাতি, সরঞ্জামের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত, মনে করেন শাস্ত্রজ্ঞরা। সেগুলি কী? ইলেকট্রিকের কাজে লাগে, এমন সরঞ্জাম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা বাঞ্ছনীয়। যন্ত্রপাতিগুলিকে অয়েলিং করে, ধুয়ে মুছে রাখা উচিত। এর ফলে এইসব যন্ত্রপাতি ভালও থাকে সারা বছর। ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে সুবিধা হয়। এর সরঞ্জাম এদিন একেবারেই অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় রাখবেন না।
তবে ঘরের যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম সংক্রান্ত অন্য নিয়মও রয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বাড়ির যন্ত্রপাতি, রান্নাঘরে ব্যবহৃত সরঞ্জাম কাউকে দেওয়া উচিত নয়।
এছাড়াও বিশ্বকর্মা পুজোর দিন অচেনা কারও থেকে খাবার নিয়ে ঘরে রাখতে নেই, বলছেন বহু জ্যোতিষবিদ। কারণ এর ফলে পুজোর দিনে নেতিবাচক এনার্জি ঘরে প্রবেশ করতে পারে, যা কেউ চায় না। বিশ্বকর্মা পুজো শেষে হোমের প্রসাদ সকলকে বিতরণ করা উচিত।
এই সব নিয়ম আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভক্তির সঙ্গে পালন করলে দেবতা তুষ্ট হন। ফলও মেলে বেশি। এবং অবশ্যই উচ্চারণ করতে হবে মহামন্ত্র। সেটি হল দেবশিল্পী মহাভাগ দেবানাং কার্য্যসাধক। বিশ্বকর্মন্নমস্তুভ্যং সর্বাভীষ্টপ্রদয়ক।