দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পুজোর মুখে ফের বিপদ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর (Basanti) রাধাবল্লভপুরে হগোল নদীতে ধস। নদীগর্ভে তলিয়ে গেল ২৯ টি বাড়ি। খবর পেয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। দীর্ঘক্ষণ সেখানে ছিলেন তিনি। আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গতদের পাশে থাকার।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর রাতে হগোল নদীতে ধস নামে। বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকতে থাকে গ্রামে। এক এক করে নদী গর্ভে তলিয়ে যায় ২৯টি বাড়ি। কোনওমতে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেতেই হুড়মুড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। তাতে প্রাণে রক্ষা পেলেও খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছে তাঁদের সমস্ত জিনিস। কার্যত এক কাপড়ে ঘর ছেড়ে এখন রাস্তায় ঠাঁই হয়েছে সকলের। দুর্গাপুজোর আগে সর্বস্বান্ত ওই পরিবারগুলি।
[আরও পড়ুন: স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করে খুন স্ত্রী! মিনাখাঁয় অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর প্রতিবেশীদের]
বিষয়টি টের পেতেই উদ্ধার কাজে হাত লাগান স্থানীয়রা। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় উদ্ধার কাজ। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্গতদের দ্রুতই নিয়ে যাওয়া হবে নিরাপদ আশ্রয়ে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও নদীর পাড়েই রয়েছেন ভিটেহারারা। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে ব্যবস্থা করা হয়েছে খাবারের। এদিন বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর দ্রুতই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে এই বিপর্যয়ের জন্য জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ বাঁধ মেরামতি না হওয়ায় এই পরিণতি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে টানা বৃষ্টি ও অজয় নদের বাঁধ ভেঙে হু হু করে জল ঢুকেছিল বর্ধমানের বেশ কয়েকটি গ্রামে। কার্যত গোটা জেলা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। একই পরিস্থিতি হয়েছিল মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলির বহু এলাকা।