অরূপ বসাক, মালবাজার: স্বচ্ছ নদীর জল রঙ বদলে হয়ে গেল কালো! অবাক করা এমন কাণ্ডেরই সাক্ষী ডুয়ার্সের মালবাজার৷ এই ঘটনা দেখতেই ঘীস নদীর পাশে ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই৷
[মালবাজার মডেল স্কুলে ভূতের আতঙ্ক, বাসিন্দাদের সচেতনতার পাঠ বিজ্ঞান মঞ্চের়]
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত এই নদীর জল স্বচ্ছই ছিল৷ কিন্তু তারপর থেকেই জলের রং বদলাতে শুরু করে৷ পুরো পালটে যায় ঘীস নদীর জল। ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়৷ এখনও সেই জলের রং কালোই রয়েছে। স্বচ্ছ নদীর জল কালো হয়ে যাওয়ার কাহিনি মুহূর্তের মধ্যেই লোকমুখে প্রায় গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে৷ নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে যান বহু মানুষ৷ তাজ্জব করা ঘটনায় চমক লাগে সকলের৷ আচমকা কেন এমন হয়ে গেল তা বুঝতে পারছেন না কেউই৷ স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ সাবলু, হরিলাল রায়রা বলেন, এই নদীর জলে সকলেই স্নান করেন এবং বন্য জন্তুরাও এই নদীর জল খায়। এই নদীর জল এখন এতটাই দূষিত মনে হচ্ছে যে এই জল খাওয়াও মুশকিল। অন্য জায়গায় বেড়ানোর পরিকল্পনা বাতিল করে ঘীস নদীর পাশে ভিড় জমান অনেক পর্যটক৷ অবাক হয়ে যান তাঁরাও৷ এরকম দৃশ্য আগে কোনওদিন দেখেননি বলেই জানান কলকাতার বাসিন্দা বিদ্যুৎ ভট্টাচার্য।
[থমকে সম্প্রসারণের কাজ, বেহাল জাতীয় দু’নম্বর সড়ক এখন বিভীষিকা]
পাহাড়ে কয়লা খনিতে ধস নামার জেরে ঘীস নদীর জল কালো হয়ে গিয়েছে বলেই দাবি পরিবেশপ্রেমী নফসর আলির৷ জলের রঙ পালটে যাওয়ায় জলজ প্রাণীদের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশপ্রেমীরা। পরিবেশপ্রেমীদের দাবি মেনে নিয়েছেন নোয়াম রেঞ্জের ম্যানেজার প্রেম শর্মাও৷ তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে কয়লাখনি এলাকায় ধস নেমে এই ঘটনা ঘটেছে৷’’ নদীতে প্রচুর জল থাকায় খনি এলাকায় পৌঁছাতে কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান তিনি৷
[বিরোধীদের বিডিও অফিসে ঢুকতে বাধা, পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে উত্তেজনা রামনগরে]
যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা৷ তাঁদের পালটা দাবি, নদীর যেদিকে কয়লাখনি রয়েছে, সেদিকের জল পরিষ্কারই রয়েছে। ইতিমধ্যেই বন দপ্তরকে খবর দিয়েছে এলাকাবাসী৷ কীভাবে এই জলের রং বদলে গেল তা অবিলম্বে খোঁজ করুক বনদপ্তর।
The post অবাক কাণ্ড! স্বচ্ছ নদীর জল রং বদলে হয়ে গেল কালো appeared first on Sangbad Pratidin.