সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানোয়ার যাত্রার রুটের প্রতিটি দোকানে লিখে রাখতে হবে মালিকের নাম। উত্তরপ্রদেশ সরকারের নয়া এই নির্দেশিকা ঘিরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এহেন পরিস্থিতিতে যোগী সরকারের অস্বস্তি বাড়ালেন তাঁরই শরিক জয়ন্ত চৌধুরি। সাফ জানিয়ে দিলেন, না ভেবেচিন্তেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় লোক দলের প্রধান জয়ন্ত বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিক।
কানোয়ার যাত্রা উপলক্ষে যোগী (Yogi Adityanath) সরকারের নয়া বিজ্ঞপ্তি ঘিরে দেশজুড়ে শুরু বিতর্ক শুরু হয়েছে। যোগী সরকার নির্দেশ দিয়েছে, কানোয়ার যাত্রার প্রতিটি রুটে যত খাবারের দোকান রয়েছে সেই দোকানগুলিতে বড় বড় ব্যানার দিয়ে লিখতে হবে দোকান মালিকের নাম। যার উদ্দেশ্য, পুণ্যার্থীরা যাতে আলাদা ভাবেন চিনতে পারেন হিন্দু ও মুসলিম দোকানগুলি। এই ঘটনায় যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির।
[আরও পড়ুন: ভারতবিদ্বেষ জাগানোর ষড়যন্ত্র কট্টরপন্থীদের, তবু বাংলাদেশের পাশেই থেকেছে ‘বন্ধু’ ভারত]
জাভেদ আখতার, সোনু সুদদের মতো সেলেবরা এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছেন। প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন বিজেপির (BJP) জোটসঙ্গী চিরাগ পাসওয়ানও। তাঁদের বক্তব্য, এই নির্দেশিকা বৈষম্যমূলক। সংখ্যালঘুদের দ্বিতীয় সারির নাগরিক হিসাবে দেগে দেওয়ার চেষ্টা। এমনকী যোগীরাজ্যকে নাৎসি জার্মানির সঙ্গে তুলনা করেন জাভেদ আখতার। স্বভাবতই এই নির্দেশিকার সমর্থনে যুক্তি সাজিয়েছেন যোগগুরু রামদেব।
তবে এবার যোগী সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলল বিজেপির শরিকই। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, "মনে হয় কোনও কিছু না ভেবেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, তাই এখনও জেদ ধরে বসে রয়েছে। তবে এখনও সময় আছে, সরকারের উচিত এই বিষয়টিকে এত বেশি গুরুত্ব না দেওয়া। কানোয়ার যাত্রীদের জাতি-ধর্ম নিয়ে কেউ ভাবিত নয়। যাঁরা কানোয়ার যাত্রীদের সেবা করেন, তাঁদের পরিচয় নিয়েও এত ভাবার দরকার নেই।" শরিকের কথা কি শুনবে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিজেপি সরকার?