স্টাফ রিপোর্টার: সিপিএমের মিছিল ঘিরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হল শহর কলকাতায়। বিশেষত হাওড়া, মধ্য কলকাতায় সপ্তাহের কর্মব্যস্ত দিনে নাভিশ্বাস উঠল আমজনতার। বুধবার সিঙ্গুর থেকে শুরু হয় সিপিএমের মিছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাওড়া হয়ে কলকাতায় আসে মিছিলটি। হাওড়া ব্রিজের উপর মিছিলে কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে ব্যাহত হয় যানবাহন চলাচল। পরে মিছিলটি রানি রাসমণিতে আসে। সেখানে সভা করে সিপিএম নেতৃত্ব। ফলত ধর্মতলা চত্বরেও সিপিএমের মিছিল ও সভাকে কেন্দ্র করে যানজটের সৃষ্টি হয়। একাধিক বাস অন্য রুট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বিপুল মানুষের অংশগ্রহণে সিপিএম নেতৃত্ব উচ্ছ্বসিত হলেও, সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
[দুই মাথা, তিন হাত, বিস্ময় যমজ ভূমিষ্ঠ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে]
বুধবার সিঙ্গুরের রতনপুর মোড় থেকে সকাল এগারোটা নাগাদ শুরু হয়েছিল সিপিএমের কৃষক সংগঠনের কলকাতামুখী র্যালি। কৃষক-খেতমজুরদের রাজভবন অভিযানের কর্মসূচিতে খুশি সিপিএম নেতৃত্ব। বস্তুত এই মওকায় ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডের মহড়াও হয়ে গেল বলে আলিমুদ্দিন মনে করছে। কৃষকসভার সম্পাদক অমিয় পাত্রর কথায়, “নয়ের দশকে এমন মিছিল হয়েছিল। তারপর দীর্ঘদিন ভাটা। পালাবদলের পর এটাই সম্ভবত সংগঠনের বড় মিছিল।” সিঙ্গুরে শিল্প গড়ে তুলতে গিয়েই তৃণমূলের আন্দোলনের জেরে ভূপতিত হয়েছিল সিপিএম। আর তার রেশ দেখা গিয়েছিল এদিন মিছিলেও। সিপিএমের মিছিলে লোকসমাগম হয়েছিল ঠিকই। লম্বা পদযাত্রা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাম নেতারাও। কিন্তু যাঁদের নামে মিছিল মুখ ফিরিয়ে রইলেন তাঁরাই। বুধবার সিপিএমের মিছিলে যোগ দেননি সিঙ্গুরের কৃষকরা। গাড়িতে করে বাইরে থেকে লোক আনা হয়েছিল সেখানে। প্রকৃত কৃষকের সেভাবে দেখা মেলেনি ওই মিছিলে। সিঙ্গুর আন্দোলনে সিপিএমের বিরুদ্ধে যাঁরা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা এদিনের মিছিলে যোগ দেবেন না তা এক প্রকার প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু যে ইচ্ছুক চাষিরা বাম জমানায় সিপিএমের পাশে ছিলেন, সমর্থন জানিয়েছিলেন, তাঁদেরও দেখা মেলেনি এই মিছিলে। তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত দেখিয়ে দলের মনোবল বাড়ানোর জন্য সিপিএম যে কর্মসূচি নিয়েছিল, তা এক প্রকার ধাক্কা খেল।
[মহিলাকে স্তন্যদানে বাধা সাউথ সিটি মলে, পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা চাইল কর্তৃপক্ষ]
The post বাম-মিছিলে শহরে তীব্র যানজট, ভোগান্তি আমজনতার appeared first on Sangbad Pratidin.