সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিনসন স্ট্রিট কঙ্কালকাণ্ডের ছায়া এবার রাজধানী দিল্লিতে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে মৃত ভাইয়ের দেহর সঙ্গে একই ঘরে বাস করছিলেন ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধ। নাম রাজেন্দর কুমার। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির কারাওয়াল নগর এলাকায়।
[‘মৃত’ ধর্মগুরুর দেহ সংরক্ষণের অনুমতি আদালতের, জলন্ধরে বিতর্ক]
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকারই একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন রাজেন্দর কুমার ও তাঁর ভাই। রাজেন্দর নিজে ছিলেন এক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। কিন্তু অবসর নেওয়ার পর ওই ঘরটিই নাকি ছিল পৃথিবী। প্রতিবেশীদের দাবি, রাজেন্দর ও তাঁর ভাই কেউই বিয়ে করেননি। বিশেষ দরকার ছাড়া বাইরেও বের হতেন না। কারও সঙ্গে মিশতেন না। মঙ্গলবার তাঁদের ফ্ল্যাট থেকে প্রবল দুর্গন্ধ পান আশেপাশের বাসিন্দারা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখেন ঘরের একপাশে রাজেন্দরের ভাইয়ের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তার পাশেই নির্বিকারভাবে বসে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক।
মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। জানা যায়, স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যু হয়েছে রাজেন্দরের ভাইয়ের। কিন্তু রাজেন্দর নির্বিকার ছিলেন কেন? মনোবিদরা রাজেন্দরকে পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, মানসিক রোগে আক্রান্ত তিনি। সেই কারণেই এমন আচরণ করছেন তিনি।
[জানেন, কেন ধর্মান্তরিত হলেন এই মুসলিম আইনজীবী?]
মানসিক রোগেই আক্রান্ত ছিলেন রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের পার্থ দে। রবিনসন স্ট্রিটের ১২০ বছরের পুরনো বাড়িতেই দিদি দেবযানী এবং পোষ্য সারমেয়র মৃতদেহের সঙ্গে ছয় মাস কাটিয়েছিলেন পার্থ৷ ২০১৫ সালের সেই ঘটনা সামনে আসার পরই শোরগোল পড়েছিল গোটা দেশে৷ পরে বেশ কিছুদিন পার্থ দে’র মানসিক রোগের চিকিৎসা করা হয় পাভলভ হাসপাতালে৷ পরে তিনি বেশ কিছুদিন মাদার হাউসেও ছিলেন৷ সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে আর রবিনসন স্ট্রিটের বাড়িতে থাকতেন না তিনি৷ ওয়াটগঞ্জের অভিজাত আবাসনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন৷ সেখানেই অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় তাঁর৷
[এবার ভুঁড়িতেই আটকে যাবে আইপিএস কর্তাদের পদোন্নতি]
The post ভাইয়ের মৃতদেহর সঙ্গেই সপ্তাহ যাপন বৃদ্ধর appeared first on Sangbad Pratidin.