সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু যুবকের প্রেমের তানে পাকিস্তান থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন মুসলিম মহিলা। তার বদলা নিতেই পাকিস্তানের (Pakistan) হিন্দু মন্দিরে রকেট লঞ্চার নিয়ে হামলা চালাল ডাকাতরা। মন্দিরের আশেপাশে হিন্দুদের বাড়িতেও ঢুকে গুলি চালায় তারা। যদিও ঘটনায় কারও হতাহতের খবর মেলেনি। তবে সিন্ধ প্রদেশের (Sindh) এই ঘটনায় ফের পাকিস্তানের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতেই শপিং মল বানানোর জন্য ভেঙে ফেলা হয় করাচির ১৫০ বছরের পুরনো একটি মন্দির।
মন্দিরে রকেট লঞ্চার হামলার ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ভোররাতে। সিন্ধ প্রদেশের দক্ষিণে কাশমোর এলাকায় অবস্থিত মন্দিরটি বছরে একবারই খোলা হয়। সারাবছর তালা ঝোলানো থাকে মন্দিরে। রবিবারও মন্দির বন্ধই ছিল। সেই সময়েই গর্ভগৃহ লক্ষ্য করে রকেট লঞ্চার ছোঁড়ে একদল ডাকাত। ৮-৯ জনের একটি ডাকাত দল ওই মন্দির সংলগ্ন হিন্দুদের বাড়িতেও হামলা চালায়। এলোপাথাড়ি গুলি চালায় তারা। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।
[আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের দ্বিতীয় বৈঠক, ২ বছর পর মুখোমুখি সোনিয়া-মমতা]
হামলার খবর পাওয়ামাত্র ঘটনাস্থলে চলে আসে কাশমোর-কান্ধকোট এসএসপি ইরফান সাম্মোর নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী। তবে পুলিশ দেখেই পালিয়ে যায় ডাকাতদল। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডাকাতদের ছোঁড়া রকেট লঞ্চারগুলি অকেজো ছিল। তাই বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেনি। হিন্দু মন্দিরটি অক্ষত রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে স্থানীয়দের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
কেন এইভাবে হামলা চালাল ডাকাতদল? পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর নেপথ্যে রয়েছে পাবজি-প্রেমের গল্প। অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে এক ভারতীয় যুবকের প্রেমে পড়েন পাক গৃহবধূ। তারপর ভারতে এসে বিয়ে করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। সেই ঘটনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাক্যবাণ চলছেই। তার প্রেক্ষিতেই কাশমোরের হিন্দু জনতাকে হুমকি দেয় ডাকাত দল। মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি খুনের হুমকিও পান স্থানীয় হিন্দুরা। পুলিশের অনুমান, এই হুমকিকে সত্যি প্রমাণ করতেই হামলা চালিয়েছে ডাকাত দল।