সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রকেট হামলা ইরাকের (Iraq) বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। এবার একের পর এক পাঁচটি রকেট আছড়ে পড়ল দেশটির বালাদ এয়ারবেসে। ওই ঘাঁটিতেই রয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন F-16 যুদ্ধবিমান।
[আরও পড়ুন: চিনা টিকা নেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত কয়েক হাজার! WHO’র ছাড়পত্র ঘিরে প্রশ্ন]
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, বুধবার রাতে বাগদাদের উত্তরে অবস্থিত বালাদ বিমানঘাঁটি আছড়ে পড়ে অন্তত পাঁচটি রকেট। তবে ওই হামলায় কারও নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিস্ফোরণে দুই মার্কিন ও এক ইরাকি কর্মী আহত হয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ওই সেনাঘাঁটিতেই রয়েছে ইরাকি বায়ুসেনার F-16 যুদ্ধবিমান। সেখানেই আমেরিকায় তৈরি বিমানগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে স্যালিপোর্ট নামের একটি মার্কিন সংস্থা। ফলে জঙ্গিদের আসল নিশানায় মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি ছিল বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। গত বছর লাগাতার রকেট হামলার মুখে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে বালাদ বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে কর্মীদের সরিয়ে নেয় মার্কিন অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থা লকহিড মার্টিন। এবার ফের হামলা হওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে ইরাকে থাক মার্কিন কর্মীদের নিরাপত্তা।
এহেন হামলার জন্য বরাবর ইরানের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে এসেছে আমেরিকা। ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলিতে তেহরানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী শিয়া সংগঠনগুলি হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ ওয়াশিংটনের। উল্লেখ্য, গত মে মাসেও আইন-আল-আসাদ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রকেট হামলা চালায় জঙ্গিরা। তার আগে বাগদাদ বিমানবন্দরের ঘাঁটিতে তিনটি রকেট হামলা হয়। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের পর থেকেই দেশটিতে ইরান ও আমেরিকার বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। ইরাকে এখনও মার্কিন সেনার সংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন শপথগ্রহণের পর থেকে ইরাকে থাকা আমেরিকার সেনা-সম্পত্তির উপর হামলা বেড়েছে। গত কয়েক মাসে অন্তত ৩০বার হামলা হয়েছে মার্কিনি সেনা, দূতাবাসের উপর। এমনকী, আমেরিকা থেকে ইরাকের জন্য আসা পণ্য সরবরাহের গাড়িতেও হামলা চালিয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট জেহাদি সংগঠনগুলি।