সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আবারও তাণ্ডব সন্ত্রাসবাদীদের। এবার জঙ্গিদের হাতে প্রাণ হারালেন আবুল কালাম নামের আরও এক রোহিঙ্গা নেতা। রবিবার কালামকে তাঁর ঘরের সামনে কুপিয়ে খুন করে জঙ্গিরা।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকছে পাকিস্তানে তৈরি জাল নোট, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
এই ঘটনার বিষয়ে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক পুলিশ সুপার মহম্মদ নাইমুল হক বলেন, রবিবার কুতুপালং ২-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ডব্লিউ-৫ ব্লকে রোহিঙ্গা নেতা আবুল কালামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি ক্যাম্পটির বি-ডব্লিউ-৫ ব্লকের সাব-মাঝি বা উপ-সর্দার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, হামলাকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তাদের নাম– নূর মহম্মদ, মহম্মদ ইব্রাহীম, মহম্মদ ফরিদ, জোবায়ের ও মহম্মদ জাবের। এই ঘটনায় রীতিমতো চঞ্চল্য ছড়িয়েছে শরণার্থী শিবিরে। সন্ত্রাসবাদীদের তৎপরতা রুখতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ বলেও খবর।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়ার লম্বাশিয়া শিবিরে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত মুহিবুল্লাহ প্রত্যাবাসনের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন বলে পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছিল। এরপর একই বছরের ২২ অক্টোবর ভোরে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা শিবিরের একটি মাদ্রাসায় একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে মাদ্রাসাটির ছাত্র-শিক্ষকসহ ছয় রোহিঙ্গা নিহত শরণার্থীর মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, মায়ানমারে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। মায়ানমারের জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি তথা আরসা-কে মদত দিচ্ছে তারা। আর সেই প্রভাব এসে পড়ছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে। বিগতদিনে শরণার্থীদের মধ্যে জঙ্গিদের তৎপরতা বেড়েছে বলেও একাধিক রিপোর্টে জানিয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা সংস্থাগুলি। এহেন পরিস্থিতিতে শরণার্থী শিবিরে ফের রোহিঙ্গা নেতা খুন হওয়ায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন দেশের প্রশাসন ও নিরাপত্তামহল।