সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গা শিবিরগুলিতে বাড়ছে ‘জেহাদি’ গতবিধি। জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বহু রোহিঙ্গার। আগেই এমন সতর্কবার্তা দিয়েছিল বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। তারপরই শরণার্থী শিবিরগুলিতে মোবাইল যোগাযোগ নিষ্ক্রিয় করে দেয় প্রশাসন। তবে সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়ে এবার মায়ানমারের সিম কার্ড ব্যবহার করছে রোহিঙ্গারা।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত চিন থেকে ভারতীয় বিমানে ফিরলেন ২৩ বাংলাদেশি নাগরিক]
সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে ক্যাম্প এলাকায় কর্মরত সরকারি-বেসরকারি, রাষ্ট্রসংঘ ও এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিরা মোবাইলে যোগাযোগ করতে না পারলেও রোহিঙ্গারা দিব্যি মোবাইল ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে দেশে-বিদেশে যোগাযোগ করছে। এ ক্ষেত্রে তারা মায়ানমারের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। ওই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে রোহিঙ্গারা এমন কিছু অ্যাপ (ট্রেসলেস) ব্যবহার করছে, যা দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। ঝুঁকি রয়েছে আরও। টেকনাফ, উখিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশের মোবাইল ফোন কোম্পানির টাওয়ারগুলোর আওতা মায়ানমারের ভিতরে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বলে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ নেটওয়ার্কের কারণে বাংলাদেশি বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের সিম কার্ড ব্যবহার হচ্ছে মায়ানমারের ভেতরেও। সীমান্ত এলাকায় অন্য দেশের নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ফলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাজনিত হুমকি আরও বেড়েছে বলে মনে করছে সরকারের নিরাপত্তা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশি মোবাইল ও ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ঢাকায় বিদেশমন্ত্রকে অনুষ্ঠিত মায়ানমার থেকে জোরপূর্বক প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গা সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স-এর সভায় এ প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে বিষয়টি যেহেতু রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত, সে কারণে ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে মোবাইল সেবা ও থ্রি-জি, ফোর-জি নেটওয়ার্ক বন্ধের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় কোর কমিটিতে পাঠানো হবে। ওই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।
[আরও পড়ুন: বিয়ের আসরে পরপর মোবাইল চুরি! পুলিশ ডেকে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন সৌম্য-প্রিয়ন্তি]
The post রোহিঙ্গাদের হাতে মায়ানমারের সিম কার্ড, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ঢাকা appeared first on Sangbad Pratidin.