সুকুমাার সরকার, ঢাকা: ফর্দাফাই জেহাদের জাল! বাংলাদেশে গ্রেপ্তার কুখ্যাত রোহিঙ্গা জঙ্গি কমান্ডার মহম্মদ রহিমুল্লাহ মুসা। পাকড়াও মায়ানমারের ওই জঙ্গিনেতার আরও তিন সহযোগী।
মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকা থেকে মায়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) গান কমান্ডার মহম্মদ রহিমুল্লাহ মুসাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় দুই বাংলাদেশি-সহ তার আরও তিন সহযোগীকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালানো হয় বলে জানান র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ অ্যান্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহম্মদ আবু সালাম চৌধুরী। তিনি জানান, গোপন খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় আরসা কমান্ডার রহিমুল্লাহ-সহ এক রোহিঙ্গা ও দুই বাংলাদেশি সহযোগীকে দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক-সহ আটক করা হয়।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে সন্ত্রাসবাদ, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ!]
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগস্টে মায়ানমার সেনাবাহিনীর ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে’র জেরে সাত লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নেয়। হাসিনা সরকারের মানবিক পদক্ষেপের সুযোগ নিয়ে এই উদ্বাস্তুদের সঙ্গে বেশকিছু রোহিঙ্গা জঙ্গিরাও ঢুকে পড়ে। এখনও তারা এদেশেও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। শরণার্থী শিবির থেকে যুবক-যুবতীদের ধরে নিয়ে হোটেলে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করছে। প্রতিবাদী নারীদের বিদেশে পাচার করছে। হত্যা-খুন-অপহরণের মতো অপরাধ বাড়ছে। আশ্রিত হয়েও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বাড়বাড়ন্তে অতিষ্ঠ কক্সবাজার জেলার বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, মায়ানমারের জঙ্গি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি তথা আরসা-কে মদত দিচ্ছে পাকিস্তানের আইএসআই। আরসা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটির সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স ও তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর যোগ দীর্ঘদিনের। ২০১৭ সালের আগস্টে আরসা মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পর থেকেই সেখানে সেনা অভিযান শুরু হয়। যার কারণে পরবর্তীতে সাড়ে সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) এসে আশ্রয় নেয়। এর আগে চার লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। এনিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীর মোট সংখ্যা ১১ লক্ষ।