সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh)শরণার্থী হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে হিংসা, হানাহানি যেন কমছেই না। আবারও ক্যাম্পের আধিপত্য নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে গুলিযুদ্ধে মৃত্যু হল এক রোহিঙ্গার (Rohingya)। মৃতের নাম মহম্মদ সেলিম। উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৭ এর ঘটনা। চলতি বছর নিজেদের মধ্যে এমন গুলির লড়াইয়ে প্রচুর রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলি জানান, শনিবার রাত ১১ টা নাগাদ উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৭ এর এ/১ ব্লক এবং ক্যাম্প-২ ইস্ট বি-ডব্লিউ/৯ কবরস্থান পাহাড় মাঝামাঝি এলাকায় দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মাঝে দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেলিম নামে এক রোহিঙ্গার পায়ে গুলি (Shot) লাগলে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে ১৪ এপিবিএনের নৌকার মাঠ পুলিশ ক্যাম্পের টহলদারি দল ঘটনাস্থল থেকে আহত রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: ‘কত রান করেছিল আপনার ছেলে?’ পরিবারতন্ত্র নিয়ে শাহকে পালটা দিলেন স্ট্যালিনের ছেলে]
এর আগে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ইস্ট নম্বর শিবিরে মহম্মদ ইসহাক নামে এক যুবককে আরসা সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে ব্রিজের নিচে এনে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে রেখে যায়। নিহত ৪৮ বছরের ইসহাক উখিয়া উপজেলার বালুখালি ৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের A-1 ব্লকের মোহাম্মদ রশিদের ছেলে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, ”প্রাথমিকভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা সন্ত্রাসীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছি। এছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফে এনজিও কর্মী ও এক রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।”
[আরও পড়ুন: সাপের কামড় খাওয়া রোগীর আত্মীয়ের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহার’, কাঠগড়ায় বর্ধমান মেডিক্যালের চিকিৎসক]
শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার জাদিমোরা শালবাগান ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে এই ঘটনা। অপহৃতরা হলেন হ্নীলার জাদিমোর এলাকার তজুর রহমানের ছেলে এনজিও কর্মী মোহাম্মদ হাসান (৫০) এবং শালবাগান রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা হাকিম আলির ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)। হ্নীলা ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলি বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে দুই শতাধিক স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ে গিয়ে অপহরণকারীদের আস্তানা খুঁজে পেয়েছি। তবে অপহরণকারীরা আমাদের দেখে গহীন পাহাড়ের ভিতর থেকে এলোপাথাড়ি গুলি করে। ফলে অস্ত্রের মুখে অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ এখনও অভিযানে রয়েছে।”