সুকুমার সরকার, ঢাকা: ক্রমে সন্ত্রাসবাদীদের চারণভূমি হয়ে উঠছে বাংলাদেশেরে রোহিঙ্গা শিবিরগুলি। পুলিশ ও প্রশাসনের হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও সেখানে কিছুতেই থামছে না খুনোখুনির ঘটনা। শনিবারের ঘটনার রেশ না কাটতেই ফের এক রোহিঙ্গাকে ইসলামিক স্টেটের কায়দায় গলা কেটে খুন করল জঙ্গিরা।
মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলার উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরে সৈয়দ হোসেন (২৩) নামের এক রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে ও গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। নিহত যুবক ক্যাম্প-১৯, ব্লক-এ/১০-এর মৃত জমিল হোসেনের ছেলে। জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে একটি দোকানের সামনে থেকে পাঁচ-ছ’জনের একটি দল সৈয়দ হোসেনের ওপর হামলা চালায়। ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে ও গুলি করে ওই যুবককে খুন করে হামলাকারীরা। এর আগে দুষ্কৃতীরা ওই যুবকের বাবা জমিল হোসেনকে খুন করে। ওই ঘটনায় আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য সৈয়দ হোসেন তৎপর ছিলেন। এর জের ধরে আক্রোশে দুষ্কৃতিকারীরা তাঁকেও খুন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে আরও একধাপ এগোল বাংলাদেশ, বুধবার দ্বিতীয় চুল্লির উদ্বোধন]
উল্লেখ্য, গত শনিবার বালুখালি ক্যাম্পে দুই রোহিঙ্গা নেতাকে খুন করেছিল জঙ্গিরা। পরপর এহেন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে শরণার্থী ক্যাম্পে। রোহিঙ্গা নেতারা এসব ঘটনার জন্য জঙ্গি সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’ বা আরসাকে দায়ী করছেন। তাঁদের অভিযোগ, নিরাপত্তহীনতার কারণে রোহিঙ্গা নেতাদের অনেকে এখন শিবিরের বাইরে বসবাস করছেন।
সূত্রের খবর, রোহিঙ্গা (Rohingya) শরণার্থী শিবিরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রোহিঙ্গা জঙ্গিগোষ্ঠি আরসা। কক্সবাজারে টেকনাফ এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিচালনায় সহায়তার জন্য প্রতিটি শিবিরে কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা নির্বাচন করা হয়। যাদের মাঝি বলা হয়। মূলত, এদেরই নিশানা করে জঙ্গিরা। রোহিঙ্গা নেতাদের হিসাবে, গত এক বছরে কমপক্ষে ১২টি হত্যাকাণ্ড। পুলিশি অভিযান চালিয়েও তেমন কোনও সুরাহা মিলছে না। এ নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন প্রশাসন। প্রায় প্রতিদিনই খুনোখুনি, লুটপাটের ঘটনা ঘটে চলেছে।