সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের জার্সিতে আর গুটিকয়েক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তার পরেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটকে বিদায় জানাবেন হিটম্যান। একটি সর্বভারতীয় স্তরের সংবাদপত্রের প্রতিবেদন সেরকমই বলছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটকে বিশ্বকাপের পরই বিদায় জানাবেন রোহিত। সেই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৫ জনের দলে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে (Hardik Pandya) কেবল পারফরম্যান্সের জন্য নেওয়া হয়েছে তা নয়। নির্বাচকরা হার্দিক পাণ্ডিয়াকে ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসেবে মনে করছেন। সেই কারণেই পাণ্ডিয়াকে দলে নেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে সহ অধিনায়ক করা হয়েছে। দল নির্বাচনের সময়ে বাইরের চাপও অনুভব করেছেন নির্বাচকরা। তবে হার্দিককে দলে নেওয়ার জন্য কারা চাপ দিয়েছেন, কোথা থেকে চাপ এসেছে, তা পরিষ্কার করে জানা যায়নি প্রতিবেদনে।
[আরও পড়ুন: ‘অধিনায়ক হিসেবে আমার সবচেয়ে বড় ভুল’, কাকে ছাড়া নিয়ে আফশোস গম্ভীরের?]
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে রোহিত ও হার্দিকের সম্পর্ক ভালো জায়গায় নেই। আইপিএলের গোড়ায় রোহিতকে সরিয়ে হার্দিকের হাতে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড তুলে দেওয়া হয়। তাতে চমকে গিয়েছিলেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। মুম্বই আইপিএলে থেকে ছিটকে যেতেই সেখানকার সাঝঘরে নাকি ছোটখাটো বিপ্লব হয়েছিল। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশি ক্রিকেটারদের হার্দিক পাণ্ডিয়াকে নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু দেশীয় ক্রিকেটাররা এখনও রোহিত শর্মার দিকেই ঝুঁকে।
অন্য একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দৌড় আইপিএলে থেমে যাওয়ার পরে রোহিত শর্মা, জশপ্রীত বুমরাহর মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা হার্দিকের নেতৃত্ব নিয়ে ময়নাতদন্তে বসেছিলেন। প্রতিবেদনে বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বিশ্বকাপের ১৫ জনের স্কোয়াড নির্বাচনের সময়ে রোহিত, নির্বাচকমণ্ডলীর প্রধান অজিত আগরকর এবং বিসিসিআই-এর প্যানেল কিন্তু হার্দিককে দলে চাননি। কিন্তু চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হন। কিন্তু কে চাপ দিল, তা পরিষ্কার করে লেখা হয়নি প্রতিবেদনে। অনেকেই মনে করছেন বিসিসিআই-এর উপরের মহল থেকে চাপ এসেছিল হার্দিক পাণ্ডিয়াকে নিয়ে। সেই চাপ প্রশমিত করা যায়নি।