সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রোহিত-শো সুপারহিট। সদ্য ভারতের ইনিংস শেষ হয়েছে। ২০ ওভারে রোহিত-ব্রিগেড তুলেছে পাঁচ উইকেটে ২০৫ রান। অজিদের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা। অস্ট্রেলিয়া কী করে, তার উত্তর দেবে সময়। তবে ভারতের প্রথম ইনিংসের পরে বলে দেওয়াই যায় রোহিত শর্মা প্রায় একাই অস্ট্রেলিয়াকে খাদের কিনারায় পাঠিয়ে দিলেন। ভারতের কাছে হারলে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ অভিযান সোমবারই শেষ হয়ে যাবে।
দুরন্ত, দুর্ধর্ষ বললেও রোহিত শর্মার এই ইনিংস সম্পর্কে কম বলা হবে। সেন্ট লুসিয়ায় রোহিত শর্মা ধরা দিলেন অন্য অবতারে। উইকেট ব্যাটিং বান্ধব ছিল। মিচেল মার্শ নিশ্চয় ম্যাচের বিরতির সময়ে মাথা ঠুকছেন। টস জিতে কেন যে তিনি ভারতকে আগে ব্যাট করতে পাঠালেন! মার্শ ভেবেছিলেন তাঁর বোলিং দিয়েই ভারতকে কম রানে বেঁধে রাখবেন। কিন্তু ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ভেবে রেখেছিলেন অন্য কিছু। শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ধরা দিলেন তিনি। মাঝে বৃষ্টির জন্য খেলা সাময়িক বন্ধ থাকলেও রোহিতকে তা সমস্যায় ফেলতে পারেনি।
মাত্র ৪১ বলে বিধ্বংসী ৯২ রানের (৭টি চার, ৮টি ছক্কা) ইনিংস খেলেন হিটম্যান। ভাগ্য তাঁর সহায় ছিল না। নইলে দ্রুততম সেঞ্চুরিটা হয়তো করেই ফেলতেন। নার্ভাস নাইন্টিতে ফিরতে হল তাঁকে। অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রবল প্রতিপক্ষকে শুরুতেই ব্যাকফুটে ফেলতে হলে আক্রমণের রাস্তা নিতেই হত। বিরাট কোহলি খাতা না খুলে ফিরে যাওয়ার পরে চাপটা এসেছিল বটে ভারতের উপরে। কিন্তু রোহিতের মারমুখী ব্যাটিংয়ে সেই চাপটা পড়ল অস্ট্রেলিয়ার উপরেই।
পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে গোটা টুর্নামেন্ট দুর্দান্ত খেলেও ভারতকে ফাইনালে হারতে হয়েছিল। এদিন কি সেই চিন্তা কাজ করছিল রোহিতের মনে? বিপক্ষ দলে রয়েছেন কামিন্স, স্টার্কের মতো বোলার। কিন্তু রোহিত শর্মা যেদিন চলতে শুরু করেন, সেদিন তাঁকে রোখে কার সাধ্যি! স্টার্ক এক ওভারে দেন ২৯ রান। বড় ম্যাচের বোলার তিনি। কিন্তু রোহিতের খুনে মেজাজের সামনে ম্লান হয়ে গেলেন তাঁরা। রোহিত তাঁর ওভারে চারটি ছক্কা এবং একটি চার মারেন। স্টার্ক একটি বল ওয়াইড করেন।
[আরও পড়ুন: ‘এখনও মাঝে মাঝে ভয় পাই’, কোপা চলাকালীন জন্মদিনে স্বীকারোক্তি মেসির, সঙ্গে নতুন ‘শপথ’ও]
১৯ বলে অর্ধশতরান করলেন রোহিত। তার পরে খেলা যত গড়িয়েছে রোহিত আরও ভয়ংকর হয়েছেন। মুম্বইকরের খেলা দেখে মনে হওয়াই স্বাভাবিক ছিল, তিনি একাই নক আউট করে দেবেন অস্ট্রেলিয়াকে। উলটো দিকে পন্থ ক্রিজে টিকে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পারতেন। কিন্তু মারতে গিয়ে পন্থকে ফিরতে হয় ডাগ আউটে। ঠিক যখন মনে হচ্ছে ভারত অধিনায়কের দ্রুততম সেঞ্চুরি পাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা, ঠিক তখনই স্টার্কের ইয়র্কার উইকেট ভেঙে দিল তাঁর।
বাইরের বল খেলতে গিয়ে আউট হন সূর্যকুমার (৩১)। স্টার্কের আপাত গতিহীন ডেলিভারিতে ব্যাট চালাতে গিয়ে ফেরেন সূর্যকুমার। শিবম দুবেও চটজলদি ২২ বলে ২৮ রান করে যান। হার্দিক পাণ্ডিয়া শেষ পর্যন্ত ১৭ বলে ২৭ রানে অপরাজিত থেকে যান। ভারতের সমর্থকরা কিন্তু সেমিতে যাওয়ার গন্ধ পেতে শুরু করে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: সব জল্পনার অবসান, আপুইয়া মোহনবাগানেই, জানিয়ে দিল মুম্বই]