স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T-20 World Cup 2024) হার্দিক পাণ্ডিয়া নয়। ভারতের নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। বুধবার রাজকোটে এক অনুষ্ঠানে এসে এ হেন ঘোষণা করে দিলেন ভারতীয় বোর্ড সচিব জয় শাহ (Jay Shah)।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T-20 World Cup) দেশকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আবার। যে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনাল হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ঘটে গিয়েছিল ভারতের। যার পর থেকে গত মাস পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি আর খেলেননি রোহিত (Rohit Sharma)। মাঝে শোনা গিয়েছিল যে, তিনি আর টি-টোয়েন্টি খেলবেন না। কিন্তু গত মাসে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাঁর হাতে ফের নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়। যার পর অনেকেই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে, রোহিতের হাতেই অধিনায়কত্ব তাজ উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। যা এ দিন নিশ্চিত করে দিলেন ভারতীয় বোর্ড (BCCI) সচিব।
[আরও পড়ুন: আচমকা কলকাতায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কারণ ঘিরে জল্পনা]
‘‘আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের নেতৃত্ব দেওয়ার পর এটা খুব স্বাভাবিক বিষয় যে রোহিত আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও টিমের নেতৃত্ব দেবে,’’ এ দিন বলে দিয়েছে জয় শাহ। তা হলে হার্দিক পাণ্ডিয়ার কী হবে? এবার বোর্ড সচিবের উত্তর, ‘‘হার্দিককে ভবিষ্যতের জন্য আমরা ভাবছি। আগামীতে ও টি-টোয়েন্টিতে যে নেতৃত্ব দেবে, নিশ্চিত করে বলা যায়।’’ যার অর্থ, আপাতত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিতের ডেপুটি হিসেবে কাজ করতে হবে হার্দিককে।
[আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকেও ইউনিক সিরিয়াল নম্বর, প্রশ্ন ফাঁস রুখতে কড়া সংসদ]
বিরাট কোহলি–তাঁর কী হবে? তিনি কি খেলবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ? রোহিতের মতো তিনিও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে খেলেননি। ব্যক্তিগত কারণে বিরাট সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। উত্তরে বোর্ড সচিব বলেন, ‘‘আমরা এ নিয়ে দ্রুত কথা বলব কোহলির (Virat Kohli) সঙ্গে।’’ প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের ছুটি নেওয়াকেও সমর্থন করেছেন বোর্ড সচিব। বলে দিয়েছেন, ‘‘কোনও ক্রিকেটার যদি পনেরো বছরে প্রথম বার ছুটি নেয়, তা হলে সেটা তার প্রাপ্য। বিরাট অকারণে কখনও ছুটি নেবে না।’’ একই সঙ্গে তিনি আরও দু’টো বিষয় জানিয়েছেন। এক, রনজি ট্রফি খেলা এখন থেকে সমস্ত বোর্ড চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের খেলা বাধ্যতামূলক। দুই, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারত আদৌ ২০২৫ সালে পাকিস্তান যাবে কি না, সেটা সম্পূর্ণ সরকারের সিদ্ধান্ত।