সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাড়ির আঁচল নিয়ে মমতা শঙ্করের (Mamata Shankar) মন্তব্যে উত্তাল সোশাল মিডিয়া। এবার এ বিষয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly)। বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর নিন্দুকদের একহাত নিলেন রূপা। নিজের দলের ঘনিষ্ঠ সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারকেও রেয়াত করলেন না।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মমতা শঙ্কর বলেন, “আজকাল যেমন হয়েছে যে শাড়ি পরব কিন্তু আমার আঁচলটা ঠিকমতো থাকবে না। আগে আমরা যেরকম বলতাম রাস্তার মেয়ে, ক্ষমা করবেন বলছি বলে। যারা ল্যাম্পপোস্টের তলায় দাঁড়িয়ে থাকে বলতাম, তাঁরা ওরকম ভাবে দাঁড়াত। কিংবা যদি গ্রামে কাজ করতে করতে শাড়ি সরে যেত। সেটা কোনও দোষের ছিল না। এরা মানুষকে আকর্ষিত করার জন্য করত, তাঁদেরও আমি শ্রদ্ধা করছি। তাঁরা তাঁদের পেশার জন্য এমনটা করছে। কিন্তু আজকাল যাঁরা বিনা কারণে ওরকমভাবে শাড়ি পরেন, তারপর লোক কিছু বললে রেগে যান, মেয়েদের নীচু করা হচ্ছে!”
[আরও পড়ুন: CCL চ্যাম্পিয়ন ‘বেঙ্গল টাইগার্স’দের সম্বর্ধনা মুখ্যমন্ত্রীর, পরের সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ ইডেনে?]
“মেয়েরাই তো মেয়েদের নীচু করছে। পুরুষ সম্মান করবে কি করে যদি আমাদের নিজেদের মর্যাদা না থাকে?” প্রশ্ন ছিল অভিনেত্রীর। তাতেই নিন্দার ঝড় ওঠে। এমন পরিস্থিতিতেই মমতা শঙ্করের পাশে দাঁড়ান রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ফেসবুক লাইভে তিনি গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার রাখি মিত্রকে একহাত নেন তিনি।
রাখি মিত্র মমতা শঙ্কর সম্পর্কে কী বলেছেন, তা রূপা জানাননি। তবে ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, “অসভ্য, অশিক্ষিত, অপদার্থ মহিলা যার নিজের জীবনে কিছু হয়নি, সে বলবে মমতা শঙ্করের বক্তব্যের সমালোচনা করে! মমতা শঙ্করের নখের যোগ্যও নয়। হতে গেলে চার জন্ম লেগে যাবে। মমদি পৃথিবী বিখ্যাত মহিলা বিজেপির পিছন ধরে হননি। চারটে পার্টির পতাকা নিয়ে বেকার কথা বলছে অসভ্য মহিলা। মমতা শঙ্কর আগে তৈরি হোন তার পর কথা বলবেন রাখি মিত্র।”
এর পরই আবার বিজেপি নেত্রী বলেন, “রিল বানিয়ে টাকা রোজগার করার এটাই এই রাজ্যে পদ্ধতি। এই করে তুই কোথায় পৌঁছবি? তোমাদের মতো অপদার্থ, কুলাঙ্গারদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির এই দুর্দশা। এত আস্পর্ধা হয় কী ভাবে রাখি মিত্রের। এত বড় দুঃসাহস! সবই মানিটাইজ়েশনের জন্য করছে। মমতা শঙ্করকে নিয়ে এত বড় কথা বলার অধিকার পশ্চিমবঙ্গে ক’টা লোকের আছে। রাজনীতির মোড়কে বাঁচা বদমাইশ কতগুলো।”