সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: বিমল গুরুং (Bimal Gurung) পাহাড়ে ফিরছেন শিগগিরই, এই জল্পনার মাঝেই আজ বিকেলে শিলিগুড়িতে পা রাখছেন তাঁর ডেপুটি রোশন গিরি। সূত্রের খবর, বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে রোশন গিরি চলে যাবেন কার্শিয়ংয়ে। সেখানে রবিবার একটি জনসভা করবেন। সাড়ে তিন বছর পর পাহাড়ে ফিরে বোঝার চেষ্টা করবেন, পাহাড়বাসীর কাছে এখনও গুরুংপন্থীদের কতটা প্রভাব। প্রাথমিকভাবে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে গুরুং নিজের পরবর্তী কর্মসূচি স্থির করবেন বলে খবর।
শুক্রবার গুরুংপন্থী মোর্চা নেতা বিশাল ছেত্রী জানিয়েছিলেন, খুব শিগগিরই শিলিগুড়ির (Siliguri) বাঘাযতীন পার্কে জনসভা করতে চলেছেন বিমল গুরুং। দিনক্ষণ স্থির হবে পরে। এরপরই গুরুংপন্থীদের মধ্যে একটা তৎপরতা দেখা যায়। যুব নেতৃত্বের তরফে দলের ‘সুপ্রিমো’কে স্বাগত জানানোর জন্য তাঁরা প্রস্তুত। এ নিয়ে মোর্চায় একটি যুব কমিটিও তৈরি হয় বলে খবর। এরপর সুকনা, পানিঘাটা এলাকায় দলের কার্যালয়ে পতাকা লাগাতে দেখা যায় তাঁদের। এসবের মাঝে শনিবার বিকেল নাগাদ, প্রায় সাড়ে তিনবছর পর পাহাড়ে পা রাখবেন মোর্চার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক তথা বিমল গুরুংয়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহকর্মী রোশন গিরি (Roshan Giri)। জানা গিয়েছেন, বিকেলের বিমানে কলকাতা থেকে বাগডোগরা পৌঁছবেন তিনি। তারপর চলে যাবেন কার্শিয়াংয়ে।
[আরও পড়ুন: ২ ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে নন সুবার্বন ট্রেন পরিষেবা, রাজ্য ও রেলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত]
প্রায় তিন বছর পর অজ্ঞাতবাস ছেড়ে পুজোর সময়ে প্রকাশ্যে এসেছেন UAPA ধারায় অভিযুক্ত বিমল গুরুং। কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের পাশে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রোশন গিরিও। এই মুহূর্তে তাঁরা দু’জনই কলকাতায় রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত কলকাতায় দেখা করেছেন দলের কর্মী, সমর্থকরা। আর তাঁদের মাধ্যমেই পাহাড়ের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন গুরুং। তবে এবার গুরুং পরবর্তী পাহাড় পরিস্থিতি বুঝতে সরাসরি আসছেন রোশন গিরিকেই পাঠাচ্ছেন গুরুং। এই মুহূর্তে সেখানে গুরুং ফিরলে, কতটা সমর্থন পাবেন, রবিবার কার্শিয়াংয়ের সভা থেকে সেই আঁচ পেতে চাইছেন রোশন গিরি।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর ইস্তফার পরই খেজুরিতে দুষ্কৃতী দাপট, রাতের আঁধারে একাধিক তৃণমূল কার্যালয়ে ভাঙচুর]
যদিও এসব নিয়ে আমল দিচ্ছে না মোর্চার বর্তমান নেতৃত্ব। মোর্চা সভাপতি বিনয় তামাং ফের জানিয়েছেন, গুরুং তাঁদের কাছে একজন পলাতক নেতা। তাঁর যাওয়া-আসার কোনও গুরুত্ব নেই। সর্বোপরি গুরুং পাহাড়ে ফিরলে যে ফের অশান্তি হতে পারে, সেই আশঙ্কা রয়েছে পাহাড়বাসীর। তাই তাঁরা কেউই গুরুংকে স্বাগত জানাবেন না বলেই দাবি বর্তমান মোর্চা নেতৃত্বের।