বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ছত্রাক পড়ে যাওয়া পাউরুটি, পচা ডিম, খাবার অযোগ্য কলা, এমনই পচা খাবার দেওয়া হচ্ছে করোনা রোগীদের! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল নদিয়ার কল্যাণীর নেতাজি সুভাষ স্যানেটোরিয়াম কোভিড হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
নদিয়ার (Nadia) কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে রোগীদের খাবার দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন কয়েকজন ঠিকাদার। অন্যান্যদিনের মতোই রবিবার তাঁরা খাবার দিতে গেলে হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী দেখেন তা পচা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ওই হাসপাতালের সুপার-সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের। খবর পৌঁছয় গয়েশপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর কাছেও। ঘটনাটি কেন্দ্র করে রবিবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতালে। সরকারি কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য এমন পচা খাবার কতদিন ধরে দেওয়া হচ্ছে? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, ওই ধরনের পচা খাবার করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য জোগান দেওয়ার সাহস সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও তার লোকজন পেলেন কী করে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। এ বিষয়ে ওই হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
[আরও পড়ুন: টিকা নিলেই শরীর ‘চুম্বক’! শিলিগুড়ির পর রাজ্যে খোঁজ মিলল আরও ৩ ‘ম্যাগনেট ম্যানে’র]
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই কল্যাণীর মহকুমাশাসক হীরক মণ্ডল দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “বিষয়টা আমি জেনেছি। বিষয়টা আমি অতিরিক্ত মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, ওই ঠিকাদারকে জেলা থেকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। বলা হয়েছে, ওই ঠিকাদারকে শো-কজ করতে। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে।” এর আগে ওই হাসপাতালে ফেলে রাখা একাধিক মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ বেরোনোর অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন সেখানকারই স্বাস্থ্যকর্মীরা। জীবিত রোগীর নামে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা, রোগী ভরতি করার জন্য টাকা আদায়ের চক্র গজিয়ে ওঠার মত বেশ কয়েকটি অভিযোগ ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে উঠেছিল। তা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর কার্যত জেরবার হয়ে পড়েছিল। ফের শিরোনামে এই হাসপাতাল।