দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: পেটের দায়ে সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ ধরতে গিয়ে ফের অঘটন। বাঘের আক্রমণে প্রাণ গেল এক মৎস্যজীবীর। কুলতলির গোপালগঞ্জের গাইনের চক এলাকায় শোকের ছায়া। নিহত মৎস্যজীবীর কাছে জঙ্গলে যাওয়ার বৈধ কাগজপত্র ছিল না বলেই খবর।
চল্লিশোর্ধ্ব শ্রীদাম হালদার কুলতলির গোপালগঞ্জের গাইনের চকের বাসিন্দা। চার সঙ্গী নিয়ে সুন্দরবনের বেনিফিলির জঙ্গলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। সোমবার সকালে মাছ ধরতে জঙ্গলে নামার সময় হঠাৎই মৎস্যজীবীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। অন্যান্য মৎস্যজীবীরা বাঘের সঙ্গে লড়াই করে শ্রীদাম হালদারকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। বেশ কিছুক্ষণ লড়াইয়ের পর মৎস্যজীবীকে বাঘের কবলমুক্ত করা যায়। সেই সময় গুরুতর জখম হন মৎস্যজীবী।
[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের বকেয়ার দাবি, সন্দেশখালির পথে আটকে পড়ল রাজ্যপালের কনভয়]
নৌকায় করে আনার সময় মৃত্যু হয় মৎস্যজীবীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর মৃত্যু হয় বলেই জানান চিকিৎসকেরা। কুলতলির জামতলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে। এদিকে, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন শ্রীদাম। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী এবং তিন সন্তান রয়েছে তাঁর। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্যের মৃত্যুতে দিশাহারা অত্যন্ত সদস্যরা। পরিবার সূত্রে খবর, কোনওরকম বৈধ অনুমতিপত্র ছাড়াই ওই মৎস্যজীবীরা জঙ্গলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ফলে সরকারি সাহায্য মিলবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশায় মৃতের পরিবারের লোকজনেরা। উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে কুলতলিতে একইরকমভাবে বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারান এক মৎস্যজীবী।