সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বনের বাঘ ফিরে গেল বনে। পাথরপ্রতিমার (Patharpratima) এল প্লটের উপেন্দ্রনগরের বাসিন্দাদের গত কয়েকদিন ধরে গ্রাস করেছিল বাঘের আতঙ্ক। বনদপ্তর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে রয়্যাল বেঙ্গলকে তাড়া করে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় উপায়ন্তর না পেয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে দক্ষিণরায়।
গত ২৪ ডিসেম্বর রয়্যাল বেঙ্গলের আতঙ্কে ঘুম ছুটে যায় পাথরপ্রতিমার উপেন্দ্রনগরের বাসিন্দাদের। দিনে ও রাতে বাঘের গর্জন শোনা যাচ্ছিল বলে খবর। ধনচির জঙ্গলের কাছে ঠাকুরাণ নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপও মেলে। বনকর্মী ও আধিকারিকরা খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে জঙ্গলের ১৮ কিলোমিটার এলাকা নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেন। সোমবার জঙ্গলের পাশে পাতা হয় দুটি খাঁচাও। পাহাড়ায় ছিলেন বনকর্মীরা। নদীবাঁধের উপর গ্রামবাসীরাও রাত পাহারায় নেমে পড়েন। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দেখা মেলেনি বাঘটির। পেতে রাখা খাঁচা দু’টিও ছিল শূন্য। কোথায় গেল রয়্যাল বেঙ্গল! মঙ্গলবার সকালে শ্রীধরনগর গ্রাম থেকে ফের নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ মেলার খবর মেলে। দু’টি দলে ভাগ হয়ে বনকর্মীরা জঙ্গলের বাইরে আশপাশ এলাকায় এবং নদীর চর বরাবর খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন। দীর্ঘক্ষণ বাঘের দেখা না মেলায় আতঙ্ক দ্বিগুণ হয় গ্রামবাসীদের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: লোকালয়ে ঢুকে পাঁচিলে বসে রোদ পোহাচ্ছে বাঘ! আতঙ্কে কাঁটা স্থানীয়রা, ভিডিও ভাইরাল]
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বনাধিকারিক মিলন মণ্ডল এদিন বিকেলে জানান, দুপুর আড়াইটা নাগাদ বাঘের সন্ধানরত বনকর্মীদের একটি দল হঠাৎ রয়্যাল বেঙ্গলকে জঙ্গলের পাশেই ঘোরাফেরা করতে দেখে। দেরি না করে বনকর্মীদের ওই দলটি নানা কায়দায় বাঘটিকে বনের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়। জেলা বনাধিকারিক জানান, শেষমেষ বাঘটি ধনচির জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তিনি আরও জানান, ওই একটিই বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসেছিল। বাঘটি জঙ্গলে ঢুকে যাওয়ায় এখন আর গ্রামবাসীদের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলেই আশ্বস্ত করেন তিনি।