শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ফের বাঘ দর্শন উত্তরবঙ্গে (North Bengal)। নেওড়া ভ্যালিতে একটি, দু’টি নয় – ক্যামেরায় বন্দি রয়্যাল বেঙ্গলের একাধিক ছবি। প্রায় দু’বছর অদৃশ্য থেকে ফের নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিল বাংলার বাঘ। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত বনকর্মী, পশুপ্রেমী থেকে শুরু করে পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দারা। ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবিগুলো কি শুধু একটা বাঘেরই, নাকি সংখ্যায় তারা একাধিক – তা পরীক্ষা করে দেখছে বনদপ্তর।
১৯৯৮ সালে প্রথম বাঘের অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে ডুয়ার্সের নেওড়া ভ্যালিতে (Neora Valley)। কিন্ত পাহাড়ের ১১ হাজার ফুট উঁচুতে ১৫৯.৮৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ঘেরা জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার চাক্ষুষ করেননি কেউ। ২০১৭ সালের ১৯ জানুয়ারি ভোরে লাভা থেকে সামান্য দূরে পেডংয়ের রাস্তায় নিজের মোবাইল ক্যামেরায় বাঘবন্দি করে বনমহলে চাঞ্চল্য ফেলে দেন আনমোল ছেত্রী নামে এক স্থানীয় যুবক।
[আরও পড়ুন: কাঠের ভাস্কর্যে ফুটে উঠছে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা! বিদেশ থেকেও বরাত পাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের যুবক]
আরও বাঘের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে এরপর এলাকায় চারটি ট্র্যাপ ক্যামেরা বসায় বনদপ্তর। তাতে ২৩ জানুয়ারি প্রথম সরকারি খাতায় নজরবন্দি হয় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ৫ জানুয়ারি ২০১৮ এরপর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি বাঘবন্দি হয় ক্যামেরায়। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের অন্তর্গত গরুমারা, নেওড়া ভ্যালির জঙ্গলে বাঘের খোঁজে সমীক্ষা চালায় বনদপ্তর।
[আরও পড়ুন: অভিনব পদ্ধতিতে শিরদাঁড়া-হাঁটুর ব্যথা সারিয়ে প্রাক্তন সেনা আধিকারিককে সুস্থ করল SSKM]
এদিকে ব্যাঘ্র সুমারির রিপোর্ট হাতে আসার আগেই জঙ্গলে পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় (Trap Camera) একের পর এক রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ধরা পড়ায় বনমহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ট্র্যাপ ক্যামেরায় জঙ্গলের একাধিক জায়গায় ধরা পড়েছে বাঘের ছবি। সেই সবই একটি বাঘের নাকি সংখ্যায় তারা একাধিক, খতিয়ে দেখছেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞদেরও মতামত নেওয়া হচ্ছে।