রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ২৪১/৭ (কোহলি ৯২, পতিদার ৫৫, হর্ষল প্যাটেল ৩৮/৩)
পাঞ্জাব কিংস: ১৮১/১০ (রসো ৬১, শশাঙ্ক ৩৭, সিরাজ ৪৩/৩)
বেঙ্গালুরু ৬০ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড় স্কোর গড়েও টেনশনে ছিল আরসিবি। কিন্তু শেষপর্যন্ত রান তাড়া করতে গিয়ে হারল পাঞ্জাব। ফলে আইপিএলে কার্যত টিকে রইলেন বিরাট কোহলিরা। এদিন ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেললেন 'কিং'। পরে শশাঙ্ককে যেভাবে রানআউট করলেন বোঝা যাচ্ছিল জয়ের জন্য কতটা মরিয়া তিনি।
এদিন টসে জিতে পাঞ্জাব প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শুরুতে অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিসকে (৯) ফেরালেও কোহলি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য মেজাজে। উইল জ্যাকস (১২) আউট হওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে জোট বাঁধেন রজত পতিদার। তাঁর ২৩ বলে ৫৫ রানের ইনিংসে ছিল হাফ ডজন ছক্কা ও ৩টি বাউন্ডারি। ক্যামেরন গ্রিন ২৭ বলে ৪৬ (৫x৪, ১x৬) রান করেন। শেষদিকে দীনেশ কার্তিকও ৭ বলে ১৮ করে যান।
কিন্তু আরসিবির ইনিংসের আসল স্থপতি অবশ্যই 'কিং' কোহলি। ৪৭ বলে ৯২। ৬টা ছক্কার পাশাপাশি ৭টি বাউন্ডারিতে সাজানো ইনিংসটিই আগাগোড়া পাঞ্জাবের বোলারদের উপরে চাপ রেখে গেল। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে অনুরাগীদের দুঃখিত করে শতরানটি মাঠেই রেখে এলেন তিনি। তবে এই মুহূর্তে অরেঞ্জ ক্যাপের অধিকারী এদিন টপকে গেলেন চলতি প্রতিযোগিতায় ৬০০ রানের গণ্ডি। আইপিএলে এতদিন সবথেকে বেশি বার এক মরশুমে ৬০০ প্লাস রানের কৃতিত্ব ছিল ক্রিস গেইলের। এদিন 'ক্যারিবিয়ান দৈত্য'কে স্পর্শ করলেন বিরাট। সবচেয়ে বড় কথা এতদিন রান পেলেও তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা উঠছিল। কিন্তু এদিন ১৯৬ স্ট্রাইক রেট রেখে খেলা ইনিংসটি সব সমালোচনারই ঊর্ধ্বে।
[আরও পড়ুন: রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজে প্রকাশ্যে অভিযোগকারিণীর মুখ! কী প্রতিক্রিয়া তরুণীর?]
একসময় মনে হচ্ছিল অনায়াসেই আড়াইশো পেরিয়ে যাবে বেঙ্গালুরু। কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা শেষ করল ৭ উইকেটে ২৪১ রানে। বড় রান হলেও যেহেতু প্রতিপক্ষ পাঞ্জাব, তাই সকলেরই ধারণা ছিল খেলা যে কোনও দিকে গড়াতে পারে। মাত্র হপ্তাদুয়েক আগেই তারা সমস্ত টি২০ ম্যাচের নিরিখে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল। তাই আইপিএলে টিকে থাকতে তারা যে বৃহস্পতিবারও কোহলিদের ছেড়ে কথা বলবে না সেটা পরিষ্কার ছিল।
ইনিংসের চতুর্থ বলেই প্রভসিমরন সিং (৬) অবশ্য ফিরে যান স্বপ্নিল সিংয়ের বলে। কিন্তু রিলি রসো ও জনি বেয়ারস্টোর (১৬ বলে ২৭) ব্যাটিং তাণ্ডবে দ্রুত ম্যাচে ফেরে পাঞ্জাব। বেয়ারস্টোকে দুরন্ত ক্যাচে ফেরান ডু প্লেসিস। কিন্তু ততক্ষণে ষষ্ঠ ওভার শেষ হওয়ার আগেই স্কোর ৭১! তবে আক্রমণের দায়ভার মূলত ছিল রসোর (৬১) উপরই। তাঁর ২৭ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৯টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা। কিন্তু তুলে মারতে ক্যালকুলেশনের সামান্য ভুলে তিনি ধরা পড়েন লং অনে। তিনি ফিরতেই ধস নামে পাঞ্জাবের ব্যাটিং অর্ডারে। জিতেশ শর্মা (৫) আউট হতেই লিভিংস্টোনও ফেরেন কোনও স্কোর না করেই। স্কোর তখন ১২৬/৫। যদিও শশাঙ্ক সিং ৪টি বাউন্ডারি ও জোড়া ছক্কায় ৩৭ রান করে লড়াইয়ে ফেরাচ্ছিলেন পাঞ্জাবকে। কিন্তু বিরাট কোহলির দুরন্ত থ্রোয়ে রানআউট হয়ে যান তিনি। ওই একটা মুহূর্তে পাঞ্জাবের লড়াই যেন থমকে গেল। তার পর আর কখনওই লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি তারা। শেষপর্যন্ত ৬০ রানে ম্যাচ হারতে হল তাদের।