সুব্রত বিশ্বাস: মর্মান্তিক ঘটনা। আরপিএফের (RPF) শত চেষ্টা সত্ত্বেও যুবকের প্রাণ বাঁচানো গেল না। হাওড়া-বর্ধমান লাইনের ডানকুনি (Dankuni) স্টেশনের কাছে রেলের পিলারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী এক যুবক। তাঁর পরিচয় এখনও মেলেনি বলে রেল পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক বিবাদের জেরে তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁর পরিচয় পেয়ে বিস্তারিত তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
রেল সূত্রে খবর, দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ডানকুনি স্টেশনের কাছে আরপিএফের নজরে পড়ে, এক যুবক রেলের পিলারে উঠছেন। দেখেই তাঁরা বুঝতে পারেন, একটা অঘটন ঘটতে চলেছে। তড়িঘড়ি আরপিএফ কর্মীরা ছুটে যান। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার, তা ঘটে গিয়েছে। ওই যুবক একেবারে পিলারে উঠে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস (Hanging)দিয়েছেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পাঠানো হয় পুলিশকে।
[আরও পড়ুন: রাজঘাটে ফোন চুরি শান্তনুর!]
বেলুড় (Belur) জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবকের বয়স ৩৫ বছরের কাছাকাছি। পরনে একটি প্যান্ট ছিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাড়িতে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। সেই কারণে এমন প্রাণঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে ওই যুবকের নাম এখনও জানা যায়নি। ঠিক কী ঘটেছে, তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এমন একটি জায়গায় উঠে একজন আত্মঘাতী হলেন, নিরাপত্তায় থাকা রেল পুলিশের চোখে পড়ার পরও কেন তাঁকে বাঁচানো গেল না? ঘটনায় রেলের উপরই দায় চাপাচ্ছেন স্থানীয়রা।