আকাশ মিশ্র: এস এস রাজা মৌলি, রামচরণ, এনটি আর। তিন ‘R’ মিলে সিনেপর্দায় রীতিমতো আড়াই ঘণ্টার একটু বেশি সময় ধরে হইচই মাতিয়ে দিলেন সিনেপর্দায়। আর চোখের সামনে যা ঘটল তা ঠিক সেই ‘বাহুবলী’র মতোই ম্যাজিক! দুর্দান্ত গ্রাফিক্স, মারাকাটারি অ্যাকশন। একেবারে লার্জার দ্যান লাইফ অভিজ্ঞতা! কিন্তু ‘আর আর আর’ (R R R Review) ছবিটা কি সত্যিই জমল? ছবির নির্মানে কি ‘বাহুবলী’কে মাত দিতে পারলেন পরিচালক রাজা মৌলি?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে একটু গল্পটা ছুঁয়ে নেওয়া যাক। এই ছবির গল্পের প্রেক্ষাপট ১৯২০ সাল। মানে ভারতে তখন বৃটিশ শাসন চলছে। দুই বন্ধু রামারাজু ও ভীম। এদের দুই দেহ, এক প্রাণ। দু’জনেই গোন্ড সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে একজন বৃটিশ পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত, আরেকজন বাহুবলীর শক্তি নিয়ে মারাপিটে জনপ্রিয়। দুই নায়কের বন্ধুত্ব, পরে তাঁদের মধ্যে শত্রুতাকে নিয়েই গল্প এগোয় ‘আর আর আর’ ছবির। রাজা মৌলি যেহেতু চমক দিতে ভালবাসেন, সেহেতু এই ছবির গল্পেও রয়েছে প্রচুর টুইস্ট। যা কিনা এই ছবি আসল ইউএসপি।
[আরও পড়ুন: তামিল ছবির রিমেক ‘বচ্চন পাণ্ডে’, পেশির জোরে নায়ক হতে পারলেন অক্ষয়? ]
তবে এবারটা যেন রাজা মৌলি বাহুবলীর মতে টানটান ভাব আনতে পারলেন না। আর যার ফলে বহু দুর্বলতা চোখে পড়ে। যেমন, দুই নায়কের মধ্যে জোরালো বন্ধুত্ব দেখাতে গিয়ে একটু বেশিই সময়ই নিয়ে ফেলেছেন রাজা মৌলি। দুম করে আলিয়ার চরিত্রটা কেন আনলেন তাও স্পষ্ট নয়। আলিয়া ছবিতে না থাকলেও, খুব একটা ক্ষতি ছিল না। অজয় দেবগণ অল্প পরিসরে বেশ ভাল। অলিভিয়া মরিসের অভিনয়ও নজর কাড়বে। তবে হ্যাঁ, গল্প যেমনই হোক, ঝকঝকে উপস্থাপনায় এই ছবি বসিয়ে রাখবে আপনাকে। মুগ্ধ করবে এনটিআর ও রামচরণ। তবে নাক উঁচু সিনেপ্রেমীদের এই ছবি না দেখাই ভাল।
শেষমেশ বলা যায়, ছবি দেখতে বসে বার বার ‘বাহুবলী’র তুলনা আসবেই। আর এটাই রাজা মৌলির কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সেদিক থেকে দেখলে ‘আর আর আর’-এর কপালে পাশমার্ক জুটে যাবে।