shono
Advertisement
Music Director Pritam Chakraborty

'সরষের মধ্যেই ভূত'! ৪০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন সুরকার প্রীতম, অভিযোগের তির কার দিকে?

থানায় যেতেই 'কেঁচো খুড়তে কেউটে'! কাঠগড়ায় কে?
Published By: Sandipta BhanjaPosted: 02:31 PM Feb 09, 2025Updated: 02:36 PM Feb 09, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন প্রীতম চক্রবর্তী (Music Director Pritam Chakraborty)। সুরকারের অফিস থেকে টাকা হাতিয়ে চম্পট দিল কে? তদন্তে নামতেই মুম্বই পুলিশের অভিযোগের তির প্রীতমের সহযোগীর দিকে। ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের মালাড থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রীতম। শুরু হয়েছে তদন্তও।

Advertisement

মুম্বইয়ের তারকাদের সঙ্গে একের পর এক অঘটন। তাঁরা যেন একপ্রকার নিশানায়। কখনও সইফ আলি খানের বাড়ির অন্দরমহলে ঢুকে হামলা চালায় আততায়ী, আবার কখনও বা পুনম ধিঁলোনের ফ্ল্যাট থেকে খোয়া যায় হিরের গয়না-সহ লক্ষাধিক টাকা। এবার সুরকার প্রীতমের অফিস থেকে চুরি ৪০ লক্ষ টাকা। নিত্যদিন বিটাউনে চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। ঠিক কী ঘটেছে? পুলিশি সূত্রে খবর, ঘটনাটি ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখের। মধু মন্টেনার প্রযোজনা সংস্থার তরফে প্রীতমের অফিসে অগ্রীম ৪০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় সিনেমায় সুর বাঁধার জন্য। তবে ব্যগভর্তি সেই টাকা সুরকারের গোরেগাঁওয়ের কার্যালয় 'ইউনিমাস রেকর্ড প্রাইভেট লিমিটেড'-এ দেওয়া হলেও সেটা পৌঁছয়নি প্রীতমের হাতে। সন্দেহের তির তাঁরই অফিসের এক সহযোগীর দিকে। যার নাম আশিস সায়াল। বছর বত্রিশের ওই যুবক বিগত কয়েক দিন ধরেই বেপাত্তা।

জানা গিয়েছে, ৪ ফেব্রুয়ারি মধু মন্টেনার প্রযোজনা সংস্থার তরফে এক কর্মী প্রীতমের অফিসে গিয়ে ব্যগভর্তি টাকা দিয়ে আসেন। সেই সময়ে মিউজিক স্টুডিওতে হাজির ছিলেন সুরকারের ম্যানেজার বিনীত ছেডা। তাঁকেই ওই ব্যগভর্তি টাকা দেন ওই ব্যক্তি। মধু মন্টেনার প্রযোজনা সংস্থার তরফে দাবি, সেই ব্যগে ৮ হাজারটি ৫০০ টাকার নোট ছিল। সেইসময়ে স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন প্রীতমের অফিসের তিন কর্মী পরিচালক আহমেদ খান, কমল দিশা এবং আশিস সায়াল। ম্যানেজার বিনীতের দাবি, ওই টাকা স্টুডিওতে রেখেই তিনি প্রীতমের বাড়িতে গিয়েছিলেন কয়েকটি কাগজপত্র সই করানোর জন্য। এর পর রাত ১০টা নাগাদ স্টুডিওতে ফিরে দেখেন ব্যাগটি আর খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। অন্যদিকে পরিচালক আহমেদ খানের দাবি, ব্যাগভর্তি ওই টাকা আশিস সায়াল প্রীতমের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকী ফোনেও পাওয়া যায়নি। প্রীতমের দাবি, ঘটনার পর ৭ দিন তিনি অপেক্ষা করেছিলেন আশিসের জন্য। কারণ, তিনি প্রীতমের অফিসের বহুবছরের কর্মী। তবে শেষমেশ আশিস সায়ালের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করতে না পারায় পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয় সুরকারকে। ইতিমধ্যেই মুম্বই পুলিশ প্রীতমের অফিসের ওই সহযোগীর খোঁজ শুরু করেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • ৪০ লক্ষ টাকা খোয়ালেন প্রীতম চক্রবর্তী।
  • তদন্তে নামতেই মুম্বই পুলিশের অভিযোগের তির প্রীতমের সহযোগীর দিকে।
  • ইতিমধ্যেই মুম্বইয়ের মালাড থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রীতম। শুরু হয়েছে তদন্তও।
Advertisement