সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহুদিন ধরেই বিজেপির গায়ে উচ্চবর্ণের দল তথা দলিত বিরোধীর তকমা সেঁটে রয়েছে। দলিত নেতাদের সাফ অভিযোগ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (Rashtriya Swayamsevak Sangh) এবং তাদের অনুসারী বিজেপি কখনওই দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির সংরক্ষণ চায় না। সেই অভিযোগই জোরদার হয়েছিল দু’বছর আগে সংঘপ্রধান মোহন ভাগবতের সংরক্ষণ বিরোধী বক্তব্যে। তিনি বলেছিলেন, এবার সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, তিনি বহুবারই সংরক্ষণ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে ভোট। ইতিমধ্যেই ওবিসি বিল পাস করিয়ে বার্তা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। তার আঁচ এসে পড়েছে সংঘের অবস্থানেও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ঘনিষ্ঠ আরএসএসের সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবালের স্পষ্ট বার্তা, বহু দশক ধরেই সংঘ পরিবার সংরক্ষণের কট্টর সমর্থক। যতক্ষণ সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশ অসাম্যের শিকার, ততক্ষণ ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে এই ব্যবস্থা বহাল থাকা উচিত। দলিতদের ছাড়া ভারতের ইতিহাস অসম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করে হোসাবালে বলেছেন, দেশের সামাজিক পরিবর্তনের অগ্রভাগে রয়েছেন তাঁরা। ‘মেকার্স অফ মডার্ন দলিত হিস্ট্রি’ নামে একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: শুধু বাংলায় নয়, ত্রিপুরাতেও ‘খেলা হবে দিবস’ পালন করবে তৃণমূল]
সেখানেই সংরক্ষণ (Reservation) প্রসঙ্গে সংগঠনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন সংঘের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর কথায়, “সামাজিক সম্প্রীতি এবং সামাজিক ন্যায়বিচার আমাদের জন্য রাজনৈতিক কৌশল নয়। দু’টিই আমাদের জন্য বিশ্বাসের বিষয়। সংরক্ষণ দেশের জন্য ঐতিহাসিক প্রয়োজনীয়তা। যতদিন অসাম্য থাকবে, ততদিন তা চালিয়ে যাওয়া উচিত। সংরক্ষণ এবং পুনর্মিলন (সমাজের সকল শ্রেণির মধ্যে) একসঙ্গে চালাতে হবে।” সামাজিক পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিদের ‘দলিত নেতা’ তকমা দেওয়ার বিরোধিতা করে হোসাবালে তাঁদের ‘গোটা সমাজের নেতা’ বলে মন্তব্য করেছেন। হোসাবালে বলেন, “যখন অনেক ক্যাম্পাসে সংরক্ষণ বিরোধী বিক্ষোভ দানা বেঁধেছিল, তখন আমরা একটি প্রস্তাব পাস করেছিলাম এবং সংরক্ষণের সমর্থনে পাটনায় একটি সেমিনারের আয়োজনও করেছিলাম।”