বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: দু’বছর পর সংঘের শতবর্ষ। তার আগে দেশজুড়ে এক লক্ষ শাখা তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS)। এখন দেশে ৫৫ হাজার শাখা রয়েছে। অর্থাৎ দু’বছরের মধ্যে আরও ৪৫ হাজার শাখা গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হল প্রয়াগরাজে শুরু হওয়া সংঘের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডলের বৈঠকে।
রবিবার থেকে চারদিনের বৈঠক শুরু হয়েছিল। বৈঠকে ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ও দত্তাত্রেয় হোসেবলে। বাংলায় একুশ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর সংঘের শাখার সংখ্যা বেড়েছে রাজ্যে। বঙ্গে প্রায় আড়াই হাজার শাখা রয়েছে। আগামী দু’বছরে সেই সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাংলা থেকে প্রয়াগরাজে যোগ দেওয়া সংঘ চালক ও প্রচারক এবং প্রান্ত প্রচারক ও চালকদের।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রচুর ‘বেনিয়ম’, ফলাফলের আগেই অভিযোগ থারুরের]
বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের জনসমর্থনে ভাটা পরেছে। জনসংযোগ কার্যত তলানিতে। সুনীল বনশল, মঙ্গল পান্ডে, সতীশ ধনদ ও অমিত মালব্যদের মতো শীর্ষনেতৃত্বকে রাজ্যে পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টায় অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা ও বিএল সন্তোষরা। দিল্লি ও কলকাতায় ঘনঘন বৈঠক করছেন তাঁরা। সংগঠনে রদবদল চলছে। যদিও রদবদল নিয়ে দলের অভ্যন্তের ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। সংঘের তরফে বারাবার বঙ্গ বিজেপির করুণ অবস্থান চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর কাজকর্ম নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে সংঘের মুখপত্রেও। সেইসঙ্গে বেশ কয়েকদফা দাওয়াইও বাতলে দিয়েছে সংঘ পরিবার। তারপরেও পরিস্থিতির বিরাট কোনও পরিবর্তন হয়নি। তবে বাংলায় সংঘের নিজস্ব কাজকর্ম নিয়ে সন্তুষ্ট মোহন ভাগবতরা।
গত দেড়বছরে বিজেপির জনসমর্থনের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও সংঘের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বেড়েছে বলে প্রয়াগরাজের বৈঠকে রিপোর্ট দেওয়া হয়। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে সঙ্ঘের শাখা লাফিয়ে বেড়েছে। অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে সঙ্ঘের আওতায় আনা গিয়েছে বলে দাবি করা হয় বলে সূত্রের খবর। তবে এখানেই থেমে থাকতে রাজি নয় সঙ্ঘ নেতৃত্ব। ২৪ সালের মধ্যে শাখার সংখ্যা দ্বিগুণ করতে হবে বলে বাংলার প্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।