সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine) আক্রমণের প্রথম কয়েকদিনের মধ্যে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রের দখল নেয় রাশিয়া (Russia)। সেই দখলদারির পক্ষে রবিবার যুক্তি সাজাল মস্কো। তাঁদের দাবি, ওই কেন্দ্রে পারমাণবিক অস্ত্র ‘ডার্টি বম্ব’ (Dirty Bomb) বানাচ্ছিল ইউক্রেন। কিয়েভের সেই প্রচেষ্টা বন্ধ করতেই চেরনোবিল দখল করেছিল রাশিয়া। তবে নিজেদের দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি পুতিনের দেশ।
রুশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিশ্বের নজর এড়িয়ে ফের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছিল ইউক্রেন। ২০০০ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে বানানো হচ্ছিল ‘ডার্টি বম্ব’। যদিও তাদের সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। তাদের দাবি, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর পারমাণবিক অস্ত্র সমর্পণ করেছিল ইউক্রেন। তার পর থেকে তারা আর পারমাণবিক অস্ত্র বানায়নি। কিন্তু রাশিয়ার এই দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ তারা দিতে পারেনি।
[আরও পড়ুন: IMA’র কলকাতা শাখার নির্বাচনে নজিরবিহীন অশান্তি, ভোট চলাকালীন তুমুল গন্ডগোলে উত্তপ্ত ভবন]
এই ডার্টি বম্ব কী, যার প্রস্তুতি ঠেকাতে চেরনোবিল পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালাল রাশিয়া। বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, মূলত তেজষ্ক্রিয় পদার্থ প্লুটোনিয়াম দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল এই মারণ অস্ত্র। কিন্তু বিস্ফোরণ হলে সাধারণ বোমার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে এলাকার। পাশাপাশি, বিস্ফোরণস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার জুড়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রভাব থেকে যায় তেজষ্ক্রিয়তার। অসুস্থ হয়ে পড়েন এলাকাবাসী।
এদিকে রবিবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ১১ দিনে পা দিল। এর মধ্যে মানবিকতার খাতিরে আমজনতার উদ্ধারকার্যের জন্য পর পর দু’ দিন কিছুক্ষণের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। এর মধ্যে অবশ্য মস্কোকে উচিত শিক্ষা দিয়ে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা লুহানস্কে পালটা হামলা চালায় কিয়েভের সেনা। তাদের হামলায় ১৫ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।