সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত মারিওপোল শহরে সাময়িক সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করল রাশিয়া (Russia)। লড়াইয়ের ময়দান থেকে সাধারণ নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য বৃহস্পতিবার সাময়িকভাবে লড়াই থামানো হবে বলে ঘোষণা করেন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: ইস্তফা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক ইমরান খানের, জরুরি অবস্থার দিকে পাকিস্তান?]
এএফপি সূত্রে, স্থানীয় সময় মতে আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে যুদ্ধবিরতি। নাগরিকদের উদ্ধারে মারিওপোল থেকে জাপরজাই শহর পর্যন্ত মানবিক করিডর তৈরি হয়েছে। রুশ ফৌজের নিয়ন্ত্রণে থাকা বারদিয়ানস্ক বন্দর হয়ে গিয়েছে করিডরটি। একইসঙ্গে, ইউক্রেনীয় ফৌজের কাছে নাগরিকদের নিয়ে যাওয়া বাসগুলির সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি চেয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। তবে বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও আদৌ লড়াই থামবে কি না, তা স্পষ্ট নয়। বলে রাখা ভাল, এর আগেও এর আগেও সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরও তা লঙ্ঘনের একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে শুধুমাত্র রাশিয়ার সীমান্ত পথই সংঘর্ষবিরতিতে খোলা রাখা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
এদিকে, চেরনোবিল থেকে ফৌজ সরাচ্ছে রাশিয়া বলে দাবি করেছে আমেরিকা। যুদ্ধের প্রথম দিন অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের দখল নেয় রুশ বাহিনী। ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্গত ইউক্রেনের চেরনোবিল শহরে যে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা আজও ভোলেনি বিশ্ব। আপাতভাবে ৩১ জনের মৃত্যু হলেও বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়তার কবলে পড়েছিলেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাতারাতি এক জনবিহীন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল চেরনোবিল। সেই চেরনোবিল এবার রাশিয়ার দখলে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ইস্তানবুলে বৈঠকে বসেন ইউক্রেন (Ukraine) ও রাশিয়ার কূটনীতিকরা। তারপরই কিয়েভে বড় আকারে সেনা তৎপরতা কমানোর ঘোষণা করে মস্কো। ফলে যুদ্ধ থামতে চলেছে বলেই মনে করছিলেন অনেকে। কিন্তু উদ্বেগ বাড়িয়ে আমেরিকার দাবি, রাশিয়ার সেনা তৎপরতা কমানোর দাবি মিথ্যা। পালটা, নতুন করে সেনা সাজাচ্ছে মস্কো। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মঙ্গলবার এক বিবৃতি দিয়েছেন পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি। তাঁর দাবি, কিয়েভের আশপাশ থেকে মোটেও সেনা সরাচ্ছে না রাশিয়া। বরং অবস্থান বদলে নতুন করে সেনা সাজাচ্ছে তারা।