সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেখতে দেখতে ২৯ দিনে পা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। এখনও লড়াই থামার কোনও নাম নেই। অবিশ্বাস্য প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে ইউক্রেন (Ukraine)। তাই সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েও এখনও কিয়েভ দখল করতে পারেনি রুশ সেনা। এই অস্বস্তির মধ্যেই আরও বিপদ বাড়ছে পুতিনের দেশের। এই সপ্তাহেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফের মিত্র দেশগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এরপর আরও বেশি করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে রাশিয়ার উপরে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ২০ বছরে এত বড় আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়নি তাদের। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনই।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গোল্ডম্যান স্যাচেস নামের এক বিশেষজ্ঞের দাবি, রুশ অর্থনীতি ১০ শতাংশ সঙ্কুচিত হতে চলেছে। এদিকে মুদ্রাস্ফীতি একধাক্কায় ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ফলে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় সাধারণ মানুষের। ইতিমধ্যেই অসংখ্য বহুজাতিক সংস্থাই রাশিয়ায় তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে অ্যাপল, ম্যাকডোনাল্ডস ও ডেলের মতো সংস্থাও। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে রুশ অর্থনীতিতে।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে ‘পুরনো বন্ধু’ রাশিয়ার আনা প্রস্তাবের পক্ষেও ভোট দিল না ভারত! খুশি আমেরিকা]
উল্লেখ্য, গত শতকের নয়ের দশক থেকেই রুশ রাজনীতিতে পুতিন জমানার শুরুয়াৎ। বরাবরই নিজের উত্থানের কথা বলতে গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মনে করিয়ে দিতেন, সেই সময় কতটা অর্থনৈতিক বিপর্যয় ও রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল মস্কোকে। কিন্তু সেই স্মৃতিই ফের ফিরে এসেছে রাশিয়ায়। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পরে আবারও অস্বস্তিতে রুশ অর্থনীতি। মনে করা হচ্ছে, যে আর্থিক বিপর্যয়ের সময় পুতিনের উত্থান, তেমনই এক আর্থিক বিপর্যয়ই তাঁর পতনের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। মুখে পুতিন বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিলেও সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে ফৌজ পাঠাতে অস্বীকার করে আমেরিকা ও ন্যাটো। তাদের আশঙ্কা ইউক্রেনে সেনা পাঠালে রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে ন্যাটো। অর্থাৎ ময়দানে জেলেনস্কিকে একাই বিশাল রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। আর ইউক্রেনের সেনার জন্য পরিস্থিত যে ক্রমে জটিল হয়ে উঠছে তা স্পষ্ট।