সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অধিকৃত ইউক্রেনে স্থানীয় নির্বাচন করাতে উদ্যোগী রাশিয়া। শুধু বুলেট নয়, এবার ব্যালট ব্যবহার করেও কিয়েভকে কোণঠাসা করতে চাইছে মস্কো। পালটা, লোকজনকে নির্বাচন বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে জেলেনস্কি প্রশাসন। প্রয়োজনে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার নিদানও দেওয়া হয়েছে।
সিএনএন সূত্রে খবর, রাশিয়ার দখলে থাকা খেরসন ও লুহানস্ক অঞ্চলে ২ সেপ্টেম্বর বা আজ থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ডোনেৎস্ক ও জাপরজাইয়ের মতো অন্যান্য অঞ্চলে ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ভোট হবে। মস্কোর এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে কিয়েভ। অধিকৃত অঞ্চলের বাসিন্দাদের নির্বাচন বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে জেলেনস্কি প্রশাসন। প্রয়োজনে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার নিদানও দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার বিপর্যয়ে পোয়াবারো চিনের! আফগান ভূমে ‘চৈনিক চালে’ উদ্বিগ্ন ভারতও]
গত দেড় বছরে ইউক্রেনের লুহানস্ক, ডনেৎস্ক (একত্রে দোনবাস), জাপরজাই এবং খেরসন প্রদেশের বেশ কিছু এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে রাশিয়ার (Russia) সেনাবাহিনী। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ নিজেদের দখল করে নেয় মস্কো। ক্রেমলিনের দাবি, আপাতত ইউক্রেনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ তাদের দখলে রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর দোনবাস, জাপরজাই ও খেরসন অঞ্চলে মস্কোর ‘পুতুল প্রশাসন’ গণভোট করিয়েছিল রাশিয়া। যুদ্ধের গোড়াতেই ওই চারটি এলাকার দখল নিয়েছিল পুতিন বাহিনী। বিশ্লেষকদের মতে, দোনবাস অঞ্চল-সহ ইউক্রেনের একটি বড় অংশকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আকারের দিক থেকে তা প্রায় পর্তুগালের সমান। কিয়েভের আধিকারিকদের কথায়, যে শহরগুলি থেকে রুশ গোলার ভয়ে লোকজন পালিয়েছে সেখানে কারা ভোট দিচ্ছে? যাঁরা প্রাণের মায়া ত্যাগ করে বাধ্য হয়ে সেখানে রয়ে গিয়েছেন, তাঁদের অশেষ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে এই ভোট সাজানো প্রক্রিয়া।