সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি৭ (G7), অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেঁধে দেওয়া মূল্যে রাশিয়ার (Russia) কাছ থেকে তেল কিনছে যে দেশগুলি তাদের আর তেল (Oil) বিক্রি করবে না রাশিয়া। পশ্চিমী দেশগুলি ব্যারেল প্রতি সর্বোচ্চ ৬০ ডলার দাম বেঁধে দিয়েছে তেলের। এই পরিস্থিতিতে এই নয়া ডিক্রি জারি করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রুশ ডিক্রিতে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে বেঁধে দেওয়া দাম মেনে নিয়েছে যে দেশগুলি, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের তেল বিক্রি করা হবে না। এই নিষেধাজ্ঞা ১ জুলাই পর্যন্ত জারি থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তবে সেই সঙ্গে এও জানিয়েছে দেওয়া হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে কোনও কোনও দেশকে ছাড়ও দিতে পারে রাশিয়া। পুতিনের ‘বিশেষ সিদ্ধান্তে’র ভিত্তিতে ওই ছাড় দেওযা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকটে জেরবার, আমেরিকায় পুরনো দূতাবাস নিলামে তুলল পাকিস্তান]
গত ৫ ডিসেম্বর থেকে রুশ তেলের বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য, বিশ্ব বাজারে তেল বিক্রি বাবদ রাশিয়ার মুনাফা সীমিত রাখার পাশাপাশি নিয়মিত সরবরাহ বজার রাখা নিশ্চিত করাও। এদিকে এই বিষয়ে ‘বন্ধু’ রাশিয়ার পাশেই রয়েছে ভারত। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই নয়াদিল্লি জানিয়ে দিয়েছে বেঁধে দেওয়া মূল্যে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনবে না ভারত। নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘রাশিয়ার থেকে তেল কেনার সময় জি৭ ও তাদের সঙ্গীদের বেঁধে দেওয়া মূল্য না মানার ভারতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক।’
রুশ বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে ভারত ২০২২ সালের প্রথম ৮ মাসে ১৬.৩৫ মিলিয়ন টন তেল কিনেছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ও ভারত রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি। এই সিদ্ধান্তের সপক্ষে ভারতের যুক্তি কী, তাও পরিষ্কার করে দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।