সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে চলছে মধ্যপ্রাচ্যের রক্তক্ষয়ী লড়াই। অন্যদিকে জারি রয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তীব্র সংঘাত। রবিবার গোটা রাত ধরে ইউক্রেনে মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালাল রুশ ফৌজ। আক্রমণ ও পালটা আক্রমণে এখনও দুদেশের মধ্যে অব্যাহত যুদ্ধের উত্তেজনা।
রয়টার্স সূত্রে খবর, সোমবার ইউক্রেনের বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার সারারাত ধরে ৫টি মিসাইল ছোড়া হয়েছে। যার মধ্যে ইউক্রেনের উত্তর ও পূর্ব অঞ্চলে দুটিকে মাঝআকাশে ধ্বংস করা হয়। এছাড়াও ১২টি কামিকাজে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। যদিও দক্ষিণ অঞ্চলে ১১টি ড্রোনকে গুলি করে নামানো হয়।
[আরও পড়ুন: উত্তপ্ত লেবানন সীমান্ত, হেজবোল্লার হামলায় নিহত ইজরায়েলের সেনা আধিকারিক]
রুশ হামলার পর ইউক্রেনের (Ukraine) পূর্ব অঞ্চল পোলতাভারের গভর্নর ফিলিপ প্রোনিন সোশাল মাধ্যম টেলিগ্রামে জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে মিসাইল ও ড্রোন হামলায় তিনজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন। হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। তিনি আরও বলেন, ভাগ্যবশত কোনও বাসিন্দা প্রাণ হারাননি। বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। এই আক্রমণে কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বলে রাখা ভালো, গত সেপ্টেম্বর মাসে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী ওডেসায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। ব্যবহার করা হয়েছিল ৪৪টি শাহেদ ড্রোন। যার মধ্যে ৩৪টি ড্রোনই ধ্বংস করে দেয় ইউক্রেনীয় সেনা।
মধ্যপ্রাচ্যে হামাস বনাম ইজরায়েলের লড়াই দশম দিনে পা রেখেছে। সেখানে রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে ইউক্রেনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে। রণক্ষেত্রের ছবি বদলে মস্কোকে পালটা মার দিয়ে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে কিয়েভ। আর যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে আমেরিকা। যা এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জেলেনস্কিবাহিনীকে চাপে ফেলতে উত্তর কোরিয়া ও চিনের মতো দেশের থেকে শক্তিশালী সামরিক সাহায্য পেতে তৎপর হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ফলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের ঝাঁজ কমার বদলে বেড়েই চলেছে।