সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় বছরেরও দেশি সময় ধরে চলছে যুদ্ধ। তবুও ইউক্রেনকে বাগে আনতে পারছে না রাশিয়া। উলটে যুদ্ধের মোড় ঘুরছে বলেই দাবি করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। এহেন পরিস্থিতিতে ফের রুশ রাজধানী মস্কোয় ড্রোন হানা চালিয়েছে কিয়েভ বলে খবর।
রাশিয়ার দাবি, মস্কোর দোমোদেদোভো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের সেনা। হামলা হয়েছে মিন্সক মোটরওয়ের কাছেও। এক বিবৃতিতে রুশ বিদেশমন্ত্রক বলেছে, “ড্রোনের মাধ্যমে মস্কোয় সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে কিয়েভ। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দু’টি ড্রোন ধ্বংস করেছে। একটিকে দোমোদেদোভো বিমানবন্দরের কাছে গুলি করে নামানো হয়েছে।”
উল্লেখ্য, যে কোনও দেশের রাজধানীকেই সেদেশের হৃদয় বলা যেতে পারে। ফলে মস্কোর নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ার অর্থই হচ্ছে রুশ সেনার জন্য বড় ধাক্কা। এর আগেও মস্কোয় ড্রোন হানার খবর পাওয়া গিয়েছে। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, যুদ্ধের ডকট্রিন, ‘টেক দ্য ওয়ার টু ইয়োর এনিমি’– মেনেই এবার রাশিয়ার বুকে হানা দিয়েছে জেলেনস্কি বাহিনী। এক্ষেত্রে, সামরিক সাফল্যের চাইতেও এর প্রতীকী মূল্য অনেক বেশি। রাশিয়া যে অপরাজেয় নয়, সেই বার্তাই দিতে চাইছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
[আরও পড়ুন: উদ্ধার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘না ফাটা’ বোমা, আতঙ্কে এলাকা খালি করার নির্দেশ জার্মানিতে]
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রুশ সেনা। সেই থেকে শুরু হয়েছে যুদ্ধ। দেড় বছর পরেও অব্যাহত হয়েছে লড়াই। সম্প্রতি ইউক্রেনের বিরুদ্ধেও পালটা হামলা করার অভিযোগ জানিয়েছে রাশিয়া। এর আগে ক্রেমলিন ও রাশিয়ার অন্যান্য শহর, যেগুলি ইউক্রেনের (Ukraine) সীমান্তবর্তী, সেখানে কিয়েভ ড্রোন হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ।
এদিকে ইতিমধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, তাঁরা শান্তি আলোচনা প্রত্যাখ্যান করছেন না। কিন্তু ইউক্রেন এভাবে হামলা চালিয়ে গেলে তাঁদের পক্ষে যুদ্ধবিরতির দিকে যাওয়া সম্ভব নয়। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছে, এভাবেই উলটে কিয়েভের কাঁধে যুদ্ধের দায়ভার চাপাতে চাইছেন পুতিন।