সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) প্রথম পর্যায়ের সামরিক অভিযান প্রায় সমাপ্ত। অধিকাংশ লক্ষ্যই পূরণ হয়ে গিয়েছে। এমনই দাবি রাশিয়ার। এবার ডনবাস অঞ্চলকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার লক্ষ্যেই ঝাঁপাবে মস্কো।
ইউক্রেন সামরিক অভিযানের (Ukraine’s special operation) ৩০ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও রাজধানী কিয়েভ দখল করতে পারেনি। মারিউপোলের মতো শহরে মুহুমুহু হামলা করলেও সেগুলিকে সম্পূর্ণ দখল করতে পারেনি পুতিনের বাহিনী। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ইউক্রেনের ‘বজ্র আঁটুনি’ প্রতিরোধের সামনে প্রতিহত হচ্ছে রাশিয়ার আক্রমণ। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ রাশিয়ার সেনাকর্তারা।
[আরও পড়ুন: পরা যাবে না ছেঁড়া জিনস, কলকাতার কলেজের নয়া পোশাক ফতোয়া নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক!]
যুদ্ধের ৩০তম দিনে রাশিয়ার (Russia Crisis) জেনারেল স্টাফের প্রধান সের্গেই রুডস্কোই জানান, “প্রথম পর্যায়ের সামরিক অভিযান প্রায় শেষের দিকে। অধিকাংশ লক্ষ্যই পূরণ হয়েছে। এবার আমাদের পরবর্তী লক্ষ্যের জন্য ঝাঁপাব।” পরবর্তী লক্ষ্য কী, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। ‘ডনবাস’ এলাকাকে স্বাধীন করা। ইতিমধ্যে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ডোনেৎস্কের (Donetsk region) ৫৪ শতাংশ এবং লুহানস্কের (Luhansk Region) ৯৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। দু’টি এলাকাকে নিয়ে গঠিত ‘ডনবাস’। এই এলাকাকে ইউক্রেনের শাসন থেকে মুক্ত করা, স্বাধীনতা দেওয়াই লক্ষ্য রাশিয়ার।
সের্গেই রুডস্কোই আরও জানান, ইউক্রেনের সেনার প্রতিরোধ ক্ষমতা নিম্নমুখী। ফলে এবার সহজে মূল লক্ষ্যপূরণ করা সম্ভব হবে- ডনবাসকে স্বাধীন করা। আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে রাশিয়ার সেনা। তাদের হুঁশিয়ারি, ন্যাটো ইউক্রেনের আকাশপথ বন্ধ করার পথে হাঁটলে, সে দেশের একাধিক শহরে এবার সরাসরি অভিযান চালাবে সেনা।
[আরও পড়ুন: করোনাতঙ্ক কাটিয়ে বাড়ছে শুরু ও শেষের মেট্রোর সময়, দেখে নিন নতুন সূচি]
প্রসঙ্গত, ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে (Ukraine) ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রুশ ফৌজ। তারপর থেকেই ডেভিড বনাম গোলিয়াথের লড়াইয়ের দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। যুদ্ধের দুসপ্তাহের মধ্যেই অর্থাৎ ৭ মার্চের মধ্যেই ইউক্রেনকে প্রায় ১৭ হাজার ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মিসাইল ও ২ হাজার বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দেয় আমেরিকা ও ন্যাটো দেশগুলি। সিএনএন সূত্রে খবর, আমেরিকার কাছে ফের প্রতিদিন ৫০০ জ্যাভলিন ও স্টিঙ্গার মিসাইল জোগান দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জেলেনস্কি সরকার। এদিকে ইউক্রেনকে হাতিয়ার দিলে ফল ভাল হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।