সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখনও চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই পরিস্থিতিতেই জার্মানির মাটিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে চলেছে আমেরিকা। যা নিয়ে শুক্রবারই কড়া প্রতিক্রিয়া রাশিয়ার। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হুঁশিয়ারি, নতুন করে ঠান্ডা যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে ইউরোপের মাটিতে।
গতকাল, বুধবারই ছিল ন্যাটোর বৈঠক। আর ওয়াশিংটনের সেই বৈঠকেই আমেরিকা (US) ও জার্মানির তরফে যৌথ এক বিবৃতিতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এর পরই ক্রেমলিনের মুখপাত্র ডিমিত্রি পেসকভ এক রুশ টিভি চ্যানেলের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, ''আমরা ঠান্ডা যুদ্ধের দিকে এগিয়ে চলেছি। প্রত্যক্ষ সংঘাতের ঠান্ডা যুদ্ধ ফের সরাসরি ফিরে আসতে চলেছে।''
[আরও পড়ুন: ঋণ মকুব, MSP আইন কার্যকরের দাবি, ফের কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনের পথে কৃষকরা]
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের শুরুতে জার্মানির (Germany) মাটিতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে চলেছে আমেরিকা। সেই সঙ্গে টোমাহক ক্রুজ ও এসএম-৬ ক্ষেপণাস্ত্রও মোতায়েন করবে তারা। আর এই সিদ্ধান্তকে আক্রমণ করেই ঠান্ডা যুদ্ধের কথা মনে করাচ্ছে রাশিয়া (Russia)।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা মহাকাশ রেস পর্যন্ত গড়িয়েছিল। প্রায় চার দশক চলেছিল এই শীতল লড়াই। যা শেষ হয় ১৯৮৮ সালে। সেই সময় থেকেই আমেরিকা রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) সঙ্গে একটি চুক্তি করে ইউরোপে আর ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন না করার বিষয়ে। এবার ফের তেমনই ঘটনা নতুন করে ঠান্ডা যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করল বলে দাবি রাশিয়ার।
এদিকে আমেরিকার এহেন সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু হয়েছে জার্মানিতেও। এমনকী সোশাল ডেমোক্র্যাটরাও কেউ কেউ এই ইস্যুতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু স্কলজের তরফে বলা হয়েছে, এটা সঠিক সময়ে একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত।