সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধ মানেই নিমেষে বদলে যাওয়া জীবন। যুদ্ধ মানেই মুহূর্তে মুছে যাওয়া শৈশবকাল। নানা দেশে নানা সময়ের যুদ্ধে এই ছবিগুলো অপরিবর্তিত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও তার ব্যতিক্রম নয়। সোমবার রাজধানী কিয়েভ-সহ ইউক্রেনের (Ukrain)একাধিক জায়গায় রাশিয়ার মিসাইল হামলায় নিহত অন্তত ২৪। হামলার নিশানায় রয়েছে এক শিশু হাসপাতালও। কিয়েভের অভিযোগ, শিশু হাসপাতাল লক্ষ্য করেই ওই হামলা। আশেপাশের বহু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই মুহূর্তে নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তির কারণে পোল্যান্ডে রয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখান থেকে তাঁর হুঁশিয়ারি, এধরনের হামলার ফল ভুগতে হবে রাশিয়াকে (Russia)।
কিয়েভের শিশু হাসপাতালে হামলা। খালি করা হল হাসপাতাল। ছবি: সোশাল মিডিয়া।
দুবছরেরও বেশি সময় হয়ে গেল রাশিয়ার সঙ্গে পাশের দেশ ইউক্রেনের (Russia-Ukrain War) যুদ্ধ চলছে। দুই বন্ধু দেশের টানাপোড়েনে খানিকটা নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়ে ভারত চায়, আলোচনা, সমঝোতার মাধ্যমে যুদ্ধ থামুক। আর এই অশান্ত পরিস্থিতির মাঝে সোমবারই রাশিয়া সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। আর একই দিনে ইউক্রেনের উপর ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ। জানা গিয়েছে, কিয়েভ, নিপ্রো, স্লোভিয়ানস্ক, ক্রামাতোরস্ক, ক্রিভি রি - একাধিক শহরে হামলা চলেছে। শেষোক্ত শহরটি খোদ প্রেসিডেন্টের বাড়ি। অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ওখমাদিতের শিশু হাসপাতালের (Children Hospital) হামলার সবচেয়ে ভয়াবহ। হাসপাতালটির সমগ্র কাঠামো ভেঙে পড়েছে। সোশাল মিডিয়া পোস্টে খোদ প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে অনেকে। সেসব স্তূপ পরিষ্কার করে সকলকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
[আরও পড়ুন: বিশ্বজয়ের পর ১২৫ কোটি টাকা ঘোষণা বিসিসিআইয়ের, কার কপালে জুটল কত?]
ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লায়াশকো জানিয়েছেন, মিসাইল হামলা ও বিস্ফোরণে ক্যানসার এবং ইনটেনসিভ কেয়ার ওয়ার্ড সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। যাদের চিকিৎসা চলছিল, সঙ্গে সঙ্গে তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) প্রকাশিত কয়েকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় মা-বাবার কোলে হাসপাতালের বাইরে বসে রয়েছে শিশুরা। কিয়েভের মেয়রের দাবি, যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ ও নিন্দনীয় হামলা। যেখানে শিশু হাসপাতালকে টার্গেট করা হয়েছে। সবমিলিয়ে, সোমবারের এই হামলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আঁচ আরও বাড়িয়ে তুলল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।