সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন তৃতীয় বৈঠকেও মিলল না রফাসূত্র। এদিকে, যুদ্ধক্ষেত্রে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। ইউক্রেনের (Ukraine) মিকোলেভ সেনা ব্যারাকে মিসাইল হামলা চালিয়েছে রুশ ফৌজ। ওই ঘটনায় ৯ ইউক্রেনীয় সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। ভিনিৎসা-সহ একাধিক জায়গায় বোমাবর্ষণ করছে রাশিয়ার গোলন্দাজ বাহিনী।
[আরও পড়ুন: চারপাশে আছড়ে পড়ছে রুশ গোলা, তার মধ্যেই সেনাক্যাম্পে বিয়ে সারলেন ইউক্রেনীয় তরুণ-তরুণী]
ক্রমে জটিল হয়ে ওঠা যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার বেলারুশে আলোচনায় বসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে মানবিক করিডর তৈরি করা ও সংঘর্ষবিরতি নিয়ে আলোচনা হয় দুই পক্ষের মধ্যে। জানা গিয়েছে, বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তের বেলোভেজসকায়া পুশচা এলাকায় হওয়া ওই বৈঠক ‘ইতিবাচক’ বলেই দাবি করেছে কিয়েভ। তবে আলোচনায় খুশি নয় মস্কো। ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য মিখাইলো পদোলিয়াক জানিয়েছেন। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ থেকে ইউক্রেনে মানবিক করিডর তৈরি করার বিষয়ে কিছুটা সহমত হয়েছে দুই দেশ। এছাড়া, যুদ্ধবিরতি ও আম নাগরিকের সুরক্ষার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেদিনস্কির মন্তব্য, “রাজনৈতিক ও সামরিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও জটিল, তাই এই মুহূর্তে কিছু নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়।”
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ৩ মার্চ বেলারুশের গোমেলে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় আলোচনায় বসেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। কিন্তু সেসব আলোচনা থেকে যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে কার্যকর কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এবার তৃতীয় দফার বৈঠকও কার্যত নিষ্ফলা। তবে আগামী বৃহস্পতিবার রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী মেভলুট কাভাসগলু। টুইটারে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী লেখেন, “প্রেসিডেন্ট এরদোগানের উদ্যোগ এবং আমাদের নিবিড় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ভিত্তিতে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং ইউক্রেনের দিমিত্রো কুলেবা আন্তালিয়া কূটনীতি ফোরামের প্রান্তে আমার উপস্থিতিতে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের বিষয়ে ইউক্রেনের করা আবেদন নিয়ে শিগগির আলোচনা করবেন ইইউ নেতারা। ইউরোপীয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চেয়ারম্যান চার্লস মিশেল সোমবার এক টুইট বার্তায় এ তথ্য জানান বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “ইইউ রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট মানবিক দুর্ভোগ লাঘব এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় ইউক্রেনের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেনের জন্য ইইউ’র সংহতি, বন্ধুত্ব ও অভূতপূর্ব সহায়তা অটুট আছে। আমরা আগামীতে ইউক্রেনের সদস্যপদ আবেদন বিষয়ে আলোচনা করব।”