সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন (Ukraine) দখলে মরিয়া রুশ সেনা। সবরকমভাবে তার উপর হামলা চালিয়ে একের পর এক এলাকা নিজেদের কবজায় আনছে। যদিও রাজধানী কিয়েভ (Kiev) এখনও রুশ আগ্রাসনের শিকার হয়নি। যদিও উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, দীর্ঘ ৬৪ কিলোমিটার রাস্তা ধরে কিয়েভমুখী রুশ সেনা। গোটা রাস্তায় শুধুই সাঁজোয়া গাড়ি আর অস্ত্রসজ্জায় সজ্জিত সেনাবাহিনীর কনভয়। এরই মাঝে মঙ্গলবার সকালে কিয়েভ আর খারকভের মাঝে ওখতিরকা সেনাঘাঁটিতে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র (Missile) হানায় প্রাণ গেল অন্তত ৭০ জন ইউক্রেনীয় সেনার। একটি সেনাঘাঁটিতে এতজনের মৃত্যু ইউক্রেনের পক্ষে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়া ভোলিন, তারনোপিল, ভিনিৎসিয়া এলাকায় মুহূর্মুহূ আকাশপথে হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। সাধারণ নাগরিকদের দ্রুত বাড়ি ছেড়ে বাঙ্কারে নিয়ে যেতে তৎপর প্রশাসন।
ইউক্রেনের আরেক শহর খারসেনের মেয়র ইগর কোলিখায়েভ জানিয়েছেন, এই শহরটির দিকেও এগোচ্ছে রুশ সেনা। খারসেনে প্রবেশের জন্য প্রশস্ত পথ তৈরি করেছে তারা। কত বড় বিপর্যয় নামতে চলেছে, তা ভেবেই আশঙ্কিত তিনি। কিয়েভের প্রসূতি হাসপাতালের উপর রাশিয়া শেল ফাটানো হয়েছে বলেও খবর। তাতে অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা। হাসপাতালের সিইও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে খবরটি জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনে ভয়ানক ‘ভ্যাকিউম বম্ব’ ব্যবহার করল রাশিয়া! প্রকাশ্যে হাড়হিম করা তথ্য]
তবে সমর ক্ষেত্রে প্রবল শক্তিশালী রাশিয়ার বিরুদ্ধে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে NATO দেশগুলি সবরকমভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের দিকে। এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্তি কাইক্কোনেন টুইটে জানিয়েছেন, তাদের হাতে অতিরিক্ত ৭০ টি মিগ ও সুখোই সিরিজে যুদ্ধবিমান এসেছে। বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়ার তরফে সেসব দেওয়া হল। এছাড়া ২৫০০ অ্যাসল্ট রাইফেল, ১৫ হাজার বুলেট, ১৫০০ ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে ফিনল্যান্ড। এছাড়া যুদ্ববিধ্বস্ত দেশের আমজনতার জন্য ৭০ হাজার প্যাকেট খাবারও দেওয়া হচ্ছে। কানাডার তরফে দেওয়া হয়েছে ২০০০ মিসাইল।
এদিকে, কাজাখস্তানও (Kazakhstan) দাঁড়িয়েছে ইউক্রেনের পাশে। রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি বৈঠক হোক তাদের ভূখণ্ডে, এভাবেই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে কাজাখস্তান। রাশিয়াকে চাপে ফেলেছে এসবিআই (SBI)। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, পুতিনের দেশে সমস্ত আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ব্যাংকের তরফে। এদিকে, ইউক্রেন থেকে উদ্ধারকাজে আরও গতি আনতে চলেছে ভারত। বায়ুসেনা বাহিনীকে এই কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। এদিন সকালে তিনি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।